ডেস্ক রিপোর্ট: ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ কেউ চায় না ঠিকই, কিন্তু ‘উত্তেজনা প্রশমনের’ দায়িত্ব পাকিস্তানের।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের কোনো সামরিক বা বেসামরিক এলাকার পরিবর্তে সন্ত্রাসীদের আস্তানাগুলোকে ভারত লক্ষ্যবস্তু করেছে। কিন্তু পাকিস্তান কিছু এলাকায় বোমা হামলা চালিয়ে আমাদের সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।
ওমর আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণ রেখার নিকটবর্তী এলাকার স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিয়েছেন। তবে জনসাধারণকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন যে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।
তিনি জানান, যেকোনো ধরনের সংকট মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের যথেষ্ঠ মজুদ রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্যের মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মধ্যবর্তী সীমান্তরেখায় পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বন্দুকধারীদের হামলার দুই সপ্তাহ পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত আজাদ কাশ্মীরের অন্তত ৯টি স্থানে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতীয় সামরিক বাহিনী মাত্র ২৫ মিনিটে অন্তত ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পাকিস্তানে। এতে পাকিস্তানে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারত।
যদিও পাকিস্তানের দাবি, ভারতের হামলায় ২৬ জন নিহত ও ৪৬ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ভারত-শাসিত কাশ্মীরে অন্তত ১০ জন নিহত ও ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
এর আগে পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতীয় অন্তত ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তবে ভারতীয় কর্মকর্তারা জম্মু-কাশ্মীরে এখন পর্যন্ত তিনটি ভারতীয় বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।
হামলা-পাল্টা হামলা নিয়ে উভয় দেশের মাঝে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠকে ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

Discussion about this post