ডেস্ক রিপোর্ট: গাজায় ফিলিস্তিনিদের খাদ্য ঘাটতির বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমরা চাই ইসরাইল গাজাবাসীদের খাওয়াক। আমরা বড় অঙ্কের সহায়তা দিচ্ছি— মূলত খাবার কেনার জন্য, যাতে মানুষ যেন খেতে পারে।’
সোমবার (৪ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
রোববার নিউ জার্সির গলফ রিসোর্ট থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ট্রাম্প।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই না কেউ না খেয়ে থাকুক বা অনাহারে মারা যাক।’
গত শুক্রবার মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেন এবং যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতর্কিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিইচএফ )-এর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘সে দারুণ কাজ করছে।’
তবে গাজায় ইসরাইল কর্তৃক ‘গণহত্যা’ চালানো হচ্ছে কি না— এমন প্রশ্নে ট্রাম্প সরাসরি সেই শব্দটি ব্যবহার এড়িয়ে যান। তার ভাষায়, ‘আমি তা বলব না— (এটা) দুঃখজনক। দেখুন, ওরা এক যুদ্ধে আছে।’
ট্রাম্প দাবি করেছেন, গাজার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ৬০ মিলিয়ন ডলারের খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। তবে বিভিন্ন সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত মাত্র ৩ মিলিয়ন ডলার বাস্তবায়ন হয়েছে।
স্টিভ উইটকফ শুক্রবার দক্ষিণ গাজায় জিইচএফ পরিচালিত একটি সহায়তা কেন্দ্রে পরিদর্শনে যান। সেখানে তিনি বলেন, ‘গাজায় মানবিক অবস্থা সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পরিষ্কার একটি ধারণা দিতে এবং খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছানোর একটি পরিকল্পনা তৈরিই এই সফরের উদ্দেশ্য।’
গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের হামাস আক্রমণের পর থেকে গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর লাগাতার বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৬০,৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আন্তর্জাতিক মহলের যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে ইসরাইল এই হামলা অব্যাহত রেখেছে।
অবরুদ্ধ গাজা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। খাদ্য ঘাটতি ও অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা মারাত্মক আকার নিয়েছে বলে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা সতর্ক করেছে।

Discussion about this post