ডেস্ক রিপোর্ট: রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের যুদ্ধ জয়ে পরিকল্পনার কাজ ৯০ শতাংশ শেষ করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে দেশটির মিত্রদের কাছে উপস্থাপনের জন্য তা প্রস্তুত। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এসব বলেছেন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলেনস্কি এক্স-এ একটি ভিডিও বার্তা শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, সারা দিন ধরে, আমরা আমাদের ইউক্রেনীয় বিজয় পরিকল্পনা প্রস্তুত করার জন্য বিভিন্ন মিটিং করেছি। প্রতিটি পয়েন্ট বাস্তব উপাদানে পূর্ণ ছিল। আলোচনায় সামরিক, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বিষয় ভেবে দেখা হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রের মূল ব্যক্তি-অংশীজন এ পরিকল্পনায় জড়িত হয়েছেন। ইউক্রেনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো ইতোমধ্যেই স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। পদক্ষেপগুলো ইউক্রেনকে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী সম্ভাব্য অবস্থান এনে দেবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি অভিযানের জন্য আমাদের কাছে কর্মপরিকল্পনার একটি সুস্পষ্ট তালিকা রয়েছে। ঠিক কী কী প্রয়োজন এবং কী আমাদের প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করবে তা এই পরিকল্পনায় যুক্ত করা হয়েছে। ৯০ শতাংশ যুদ্ধ জয়ের প্রস্তুতি শেষ। এর আওতায় পদক্ষেপগুলো ব্যর্থ হওয়া অসম্ভব।
এদিকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আবারও জোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাশিয়া। দেশটি আবার তাদের সেনা সংখ্যা বাড়াতে চলেছে। এ নিয়ে যুদ্ধের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো সেনা বাড়াতে যাচ্ছে দেশটি।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার সেনা সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তার এ নির্দেশ সংক্রান্ত একটি ডিক্রিও সরকারি ওয়েবসাইটে যুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীতে নিয়মিত সেনার সংখ্যা এক লাখ ৮০ হাজার বাড়িয়ে ১৫ লাখ করার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এ নিয়ে ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর তৃতীয়বারের মতো সেনা বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন তিনি।
রুশ প্রেসিডেন্টের এ সেনা বাড়ানোর ঘোষণার ফলে চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেনাবাহিনীর স্থান দখল করতে যাচ্ছে দেশটি। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে এ ডিক্রি কার্যকর হবে। ডিক্রি অনুসারে সেনাবাহিনীর মোট সদস্য সংখ্যা দুই দশমিক ৩৮ মিলিয়নে দাঁড়াবে।