ডেস্ক রিপোর্ট: যুদ্ধের প্রথম বর্ষপূর্তিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন-হামাসের ওপর আকাশ ও স্থল হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। সোমবার (৭ অক্টোবর) ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, হামলায় গাজায় অন্তত ৫২ জন মানুষ নিহত হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলি ট্যাংকগুলি আটটি ঐতিহাসিক নগর শরণার্থী শিবিরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আশ্রয়কেন্দ্র জাবালিয়ায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জাবালিয়ার চারপাশ ঘিরে ফেলে ও ট্যাংক মোতায়েন করে তারা। এছাড়া সেখানে রকেট হামলাও চালায় তারা। এর কিছুক্ষণ পরেই, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উত্তরের শহর বেইত হানুন ও বেইত লাহিয়ার এলাকাগুলো খালি করার জোরালো নির্দেশ জারি করে।
স্থানীয়রা আরও জানিয়েছে, জাবালিয়ায় আকাশ এবং মাটি থেকে আক্রমণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৯ জন শিশু রয়েছে।
তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা কয়েক ডজন জঙ্গিকে হত্যা করেছে এবং জাবালিয়ায় সামরিক অবকাঠামো ভেঙে দিয়েছে। হামাসকে পুনরায় সংগঠিত হতে বাধা দেওয়ার জন্য অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দিয়েছে ইসরায়েল।
তারপরও ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবে একটি মিসাইল নিক্ষেপ করেছে হামাস। এতে দুইজন আহত হয়েছে।
এই রকেট হামলাটি প্রমাণ করে যে, দীর্ঘস্থায়ী ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের পরেও হামাসের পাল্টা আঘাত করার সক্ষমতা রয়ে গেছে। যদিও এক বছর ধরে চলা যুদ্ধ তাদের শক্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ জানিয়েছে, তারা গাজার কাছাকাছি অন্যান্য ইসরায়েলি শহরে রকেট নিক্ষেপ করেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে ছোড়া পাঁচটি রকেট আটকানো হয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ১৩৯ জনকে হত্যা ও ২৫০ জনকে জিম্মি করে হামাস। এরপর থেকেই গাজায় অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। তাদের নির্বিচার হামলা ও অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৯০৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৯৭ হাজার ৩০৩ জনের বেশি মানুষ। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী শিশু ও বয়স্ক।
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post