ডেস্ক রিপোর্ট: মেয়ের শশুর মাসাদ বুলোসকে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য ও আরববিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রোববার লেবানন বংশোদ্ভূত আমেরিকান ব্যবসায়ী বুলোসকে এ পদে মনোনীত করেন তিনি। সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া একটি পোস্টে বুলোসকে সফল আইনজীবী এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অত্যন্ত সম্মানিত নেতা হিসেবে প্রশংসা করেন ট্রাম্প। তবে এই মাসাদের আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি ট্রাম্পের মেয়ে টিফানির শ্বশুর। ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারশিবিরে সক্রিয় ছিলেন মাসাদ বুলোস। বিশেষ করে আরব-আমেরিকান মুসলিম ভোটারদের মন জয়ে তিনি ভূমিকা রেখেছেন।
পোস্টে ট্রাম্প আরও লিখেছেন, ‘মাসাদ দক্ষ চুক্তি নির্মাতা এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য অটল সমর্থক। তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং এর স্বার্থের জন্য একজন শক্তিশালী প্রবক্তা হবেন এবং আমি তাকে আমাদের দলে পেয়ে আনন্দিত।’ তবে মাসাদ বুলোস তার নিজস্ব মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মতামত নিয়ে বেশির ভাগ সময় নীরব থেকেছেন। নিজের নীতিগত অবস্থানও স্পষ্ট করেননি তিনি।
বুলোস লেবাননের একটি রাজনৈতিকভাবে সংযুক্ত খ্রিষ্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু কিশোর বয়সেই টেক্সাসে যান এবং পরে নাইজেরিয়ায় তার পারিবারিক ব্যবসায়িক উদ্যোগে যোগ দেন। বুলোসের বৈশিষ্ট্যও বেশ বতর্কিত।
এর আগে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছিল, বুলোস ২০০৯ সালে লেবাননের সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে সম্প্রতি নিউজউইকের এক সাক্ষাৎকারে এই দাবিকে অস্বীকার করেছেন তিনি। বুলোস আরও অস্বীকার করেছেন, তিনি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সাথে সংযুক্ত লেবাননের রাজনীতিবিদ সুলেইমান ফ্রানজিয়েহর বন্ধু। এই ফ্রানজিয়েহর প্রেসিডেন্ট হওয়ার আকাক্সক্ষাকে সমর্থন করে হিজবুল্লাহ। অবশ্য মাসাদ বুলোস বলেছেন, তিনি লেবাননের কোনো দলের সঙ্গে সংযুক্ত নন। তবে তিনি লেবাননের বেশির ভাগ খ্রিষ্টান নেতার সঙ্গে পরিচিত।
একদিন আগেই আরেক মেয়ে ইভাঙ্কার শ্বশুর চার্লস কুশনারকে ফ্রান্সে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে নিয়োগ পেলেও বুলোসের ভূমিকার সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য নীতির তত্ত্বাবধানকারী কর্মকর্তাদের বেছে নেওয়া প্রক্রিয়ার মধ্যেই এই ঘোষণা এসেছে। এর আগে ট্রাম্প ইসরাইলপন্থি মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে মনোনীত করেন। এছাড়া মাইক হাকাবিকে ইসরাইলি বসতির সমর্থক হিসেবে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত এবং নীতিগত অভিজ্ঞতাহীন ব্যবসায়ী স্টিভেন উইটকফকে মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ দূত হিসাবে মনোনীত করেছেন ট্রাম্প।

Discussion about this post