ডেস্ক রিপোর্ট: কিয়েভের মিত্র দেশগুলোকে তাদের নিজস্ব বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতা পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রুশ ড্রোন পোল্যান্ডের আকাশ সীমায় ঢুকে পড়ার পর বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এ আহ্বান জানান তিনি। কিয়েভে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব্বের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলন করেন জেলেনস্কি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন ‘উন্মুক্ত এবং প্রস্তুত’ আছে, যাতে মিত্র দেশগুলোর প্রচেষ্টায় সহায়তা প্রদান করা যায়।
রাশিয়া ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশে যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে ইউক্রেন বহু বিমান হামলা প্রতিহত করেছে। এসব ক্ষেত্রে পুরোনো মেশিন গান থেকে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত ইউক্রেনি এবং বিদেশি সরবরাহিত অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, পোল্যান্ডের মতো দেশগুলোকে অনেক স্তরীয় পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখার পরামর্শ দেওয়া উচিত। কারণ মার্কিন নির্মিত প্যাট্রিয়টের মতো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে খরচ অনেক বেশি, যা রাশিয়ার ব্যবহার করা কম খরচের ড্রোনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা কঠিন।
জেলেনস্কি বলেন, “পৃথিবীর কোথাও এত ক্ষেপণাস্ত্র নেই যা সব ধরনের ড্রোনকে গুলি করে নামাতে পারে।”
বুধবার ন্যাটো মিত্রদের সমর্থনে পোল্যান্ড এমন কয়েকটি ড্রোন গুলি করে নামায় যা তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল। পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, এটি রাশিয়ার একটি প্ররোচনা ছিল, যা পোল্যান্ড এবং ন্যাটোর প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।
জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন পশ্চিমা দীর্ঘ-পরিসরের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। তারপরও কিয়েভ রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করার জন্য একটি পরিশীলিত দেশীয় পদ্ধতি তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড তুস্ক ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সামরিক প্রতিনিধিদের ইউক্রেনে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, পোলিশ সামরিক প্রতিনিধিরা ড্রোন গুলি করে নামানোর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন।

Discussion about this post