ডেস্ক রিপোর্ট: মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। দেশটির সাবেক রাজা সম্পর্কে মন্তব্যের কারণে মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়। তার আইনজীবী এ কথা জানিয়েছেন। তবে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় গুয়া মুসাং শহরে আদালতের বাইরে তার আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, ৭৭ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ দোষী নন।
এদিকে এএফপি’র এক সাংবাদিক বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেতার সমর্থকরা তার আবেদনের কথা শুনে উল্লাস প্রকাশ করেছে।
চলতি মাসে উপ-নির্বাচনের আগে মুহিউদ্দিন রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্য দেন বলে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। ওই বক্তব্যে তিনি চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটের পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিয়োগের জন্য রাজার ২০২২ সালের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
এমন মন্তব্যকে সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমেদ শাহের প্রতি অবমাননা হিসেবে দেখা হয়। তিনি ২০১৯ থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত রাজা ছিলেন।
২০২২ সালের নির্বাচনের পর আনোয়ার ইব্রাহিম একটি জোট গঠন করতে সক্ষম হওয়ায় রাজা তাকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মালয়েশিয়ায় রাজাকে অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি বিবেচনা করা হয়। অবশ্য, এটি একটি আলঙ্কারিক পদ। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন।
রাজার মর্যাদা ক্ষুণ্ন করলে উপনিবেশিক যুগের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অধীনে বিচার করা যেতে পারে। এতে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির জরিমানা এবং তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
মহিউদ্দিনের আইনজীবী জানান, গুয়া মুসাং আদালত মুহিউদ্দিনের পরবর্তী শুনানি ৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

Discussion about this post