Print Date & Time : 17 October 2025 Friday 5:07 pm

মঙ্গলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দাবি চীনা বিজ্ঞানীদের

ডেস্ক রিপোর্ট: মঙ্গলগ্রহে গবেষণা কেন্দ্র গড়তে প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। আর সেই শক্তির জোগান মিলবে মঙ্গলের বাতাস থেকেই। গ্রহটির নিজস্ব বায়ুমণ্ডলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সংরক্ষণের অভিনব প্রযুক্তি আবিষ্কারের দাবি করেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।খবর এএফপি’র।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলগ্রহে গবেষণা কেন্দ্র গড়তে প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। সেই শক্তির উৎসও এবার খুঁজে বের করার দাবি করেছেন চীনা গবেষকরা। তাদের দাবি, মঙ্গলের বাতাস দিয়েই বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

চীনের সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন, মঙ্গলের বাতাসকে কাজে লাগিয়ে তাপ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এই বাতাসের ঘনত্ব বেশি এবং তাপ ধারণক্ষমতাও অনেক।

হিলিয়াম বা জেননের মতো মূল্যবান গ্যাস নয় বরং মঙ্গলেই থাকা কার্বন-ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করেই উৎপাদন ক্ষমতা ২০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব বলে জানিয়েছে গবেষণা দল। এতে ব্যাটারির ওজন কমবে এবং গ্রহেই শক্তি জোগান নিশ্চিত হবে।

মঙ্গলের বাতাস তাপ থেকে বিদ্যুতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে ভালো কার্যকরী। এর অণুর ওজন বেশি এবং নির্দিষ্ট তাপধারণ ক্ষমতাও উচ্চমানের। এর অর্থ এটি তাপ-থেকে-বিদ্যুৎ রূপান্তরে অত্যন্ত উপযোগী।

শুধু উৎপাদন নয়, গবেষকরা উদ্ভাবন করেছেন ‘মার্স ব্যাটারি’ নামের একটি ধারণা, যা মঙ্গলের বাতাসে থাকা উপাদান শোষণ করে তা থেকেই তৈরি করে বিদ্যুৎ। লিথিয়াম-এয়ার বা লিথিয়াম-কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যাটারির মতো প্রযুক্তির মাধ্যমে রোভার কিংবা হেলিকপ্টারও চালানো সম্ভব।

মঙ্গলগ্রহের দিন-রাত্রির তাপমাত্রার বিশাল পার্থক্যেও এই ব্যাটারি কাজ করতে সক্ষম বলে পরীক্ষায় দেখা গেছে। শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসেও এটি নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ করে, যা ভবিষ্যতের গবেষণা ঘাঁটি নির্মাণে বড় সহায়ক।