ডেস্ক রিপোর্ট: দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য ভিসা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পরীক্ষাও পরিবর্তন আনার আভাস মিলেছে। ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসের (ইউএসসিআইএস) নতুন পরিচালক জোসেফ এডলো নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান।
ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদে অভিবাসন ব্যবস্থায় কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তা স্পষ্ট করেছেন এডলো। বর্তমান প্রশাসন অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং ব্যাপক নির্বাসন অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি কর্মীদের জন্য এইচ-১বি ভিসা ব্যবস্থাটি দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, এই ভিসা প্রক্রিয়ায় সেসব কোম্পানিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত যারা বিদেশি কর্মীদের বেশি বেতন দিতে রাজি।
এডলো বলেন, এই প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হলে রিপাবলিকান দলের অভ্যন্তরে ভিসাবিরোধী গোষ্ঠীর সমালোচনা অনেকটাই হ্রাস পাবে। কারণ, অনেকের অভিযোগ— বিদেশি কর্মীরা কম বেতনে কাজ করায় দেশীয় শ্রমবাজারে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
এছাড়া নাগরিকত্ব পরীক্ষার বর্তমান কাঠামোও বদলানোর বার্তা দিয়েছেন এডলো। বর্তমানে ১০০টি প্রশ্ন থেকে যেকোনো ১০টি করা হয়, যার মধ্যে ৬টির সঠিক উত্তর দিতে হয়। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এটি ২০ প্রশ্নে বাড়ানো হয়েছিল এবং উত্তীর্ণ হতে ১২টি সঠিক উত্তর প্রয়োজন ছিল। এডলো জানিয়েছেন, আবার সেই সংস্করণে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নাগরিকত্ব পরীক্ষাটা এখন খুব সহজ। কেবল উত্তর মুখস্থ করলেই পাস করা যায়। এটি আইন অনুযায়ী সঠিকভাবে হচ্ছে না বলে আমি মনে করি।’

Discussion about this post