ডেস্ক রিপোর্ট: পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও গোলাবর্ষণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে জিও নিউজ।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ বলেন, ‘ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলায় পাকিস্তানে অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ২৬ জন ক্ষেপণাস্ত্রে, আর পাঁচজন গোলার আঘাতে নিহত হন।’ এছাড়া ভারতীয় হামলায় ৫৭ পাকিস্তানি আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন এই সেনা কর্মকর্তা।
গেল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বেশকিছু লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। ভারতের দাবি, তারা নয়টি ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে রয়েছে জইশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তাইয়্যেবা নামে দুটি জঙ্গি সংগঠনের ঘাঁটি। এই দুই সংগঠনকে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র। এদের বিরুদ্ধেই ভারত গত মাসে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের ওপর হামলার দায় চাপিয়েছে, যাতে ২৬ জন নিহত হন।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ‘টার্গেট বাছাই ও হামলার পদ্ধতিতে ভারত যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে।’ অন্যদিকে পাকিস্তান বলছে, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাদের ছয়টি জায়গায় আঘাত হানা হয়েছে, তবে সেখানে কোনো জঙ্গি ঘাঁটি ছিল না।
পাকিস্তানি সামরিক মুখপাত্র আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, ‘এই হামলা পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের সরাসরি লঙ্ঘন। আমরা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়ে দিয়েছি, পাকিস্তান প্রয়োজন অনুযায়ী পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাবে। পাকিস্তান একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র। তবে আমাদের সম্মান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যা কিছু দরকার হবে, তা আমরা করব।’
পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তবে ভারত এখনো এই দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি। রয়টার্সকে দেওয়া তথ্যে ভারতীয় কাশ্মীরের চারটি পৃথক সূত্র জানিয়েছে, তিনটি যুদ্ধবিমান পৃথক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে এবং তাদের পাইলটদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

Discussion about this post