ডেস্ক রিপোর্ট: দক্ষিণ গাজার খান ইউনুসে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। সোমবার (১২ আগস্ট) খান ইউনুসের আবাসিক এলাকায় হামলা চালায় তারা। অথচ ইরান ও তার মিত্রদের হুমকিতে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বাড়ার আশঙ্কায় ওই এলাকায় যুদ্ধ বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
আরও অভিযান চালানোর জন্য ওই এলাকায় আশ্রয় নেওয়া পরিবার ও বাস্তুচ্যুতদের আবারও সেখান থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এমন পরিস্থিতিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু পশ্চিমা দেশ উদাসীনতা ও সমর্থনের মাধ্যমে ইসরাইলকে গাজায় অপরাধ অব্যাহত রাখতে উৎসাহিত করেছে।
এদিকে, ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকায় গাজা যুদ্ধবিরতির নতুন আলোচনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে হামাস। ইসরায়েলের আধিপত্যের আগ্রাসনকে আড়াল করতেই আরও নতুন দফা আলোচনাকে অজুহাত বলেছেন তারা। নতুন করে আলোচনা না করে, জো বাইডেনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বাস্তবায়নের পরিকল্পনা জমা দিতে মধ্যস্থতাকারী কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস।
হামাসের ঘনিষ্ঠ দুটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, তারা নিশ্চিত যে আলোচনার জন্য নতুন আহ্বানটি ইসরায়েলের সঙ্গে আগে থেকেই সমন্বিত হয়েছিল যাতে তেহরানে ইসমাইল হানিয়েহ ও লেবাননের হিজবুল্লাহ নেতাকে হত্যার বিষয়ে ইরান এবং হিজবুল্লাহর প্রতিক্রিয়া রোধ করা যায়।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী একটি সাবমেরিন মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন,যে বিমানবাহী রণতরি ইতোমধ্যে এই অঞ্চলে পাঠানো হয়েছিল, তাও দ্রুত পৌঁছাবে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৮৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত কমপক্ষে ৯২ হাজার ১৪২ জন। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক বলে জানিয়েছেন গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

Discussion about this post