ইউএস বেঙ্গল বাংলাদেশ বুরোঃ বাংলাদেশের বিনোদন জগৎ সংস্কৃতিক অঙ্গনে মানুষের আগ্রহ কমে গেছে।বিগত জুলাই বিপ্লবের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে, পাশাপাশি অর্থনীতির ক্ষেত্রে বেসরকারি কোম্পানিগুলো চাকুরী রত মানুষেরা চাপের মধ্যে আছে। নিয়মিত বেতন না হওয়া এবং বেতন বৃদ্ধি না হওয়াতে এ সকল মানুষের সংসার চালাতে এক ধরনের হিমশিম খেতে হচ্ছে।যার কারণে মানুষের দৈনন্দিন জীবন পরিচালনায় এক ধরনের টানাটানি হচ্ছে এতেই কমে গেছে মানুষের মানসিক রিফ্রেশমেন্ট এর জায়গা গুলো।
সিনেমা বিনোদন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে মানুষের সেই ধরনের আগ্রহ নেই। এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনও কমেছে বাংলাদেশে। কাজেই বিনোদন জগতের সাথে যারা জড়িত তারা এক ধরনের চাপা সংকটের মধ্যে রয়েছে।এছাড়া নির্বাচিত সরকারের দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সক্রিয়তা অনেক বেড়েছে। মানুষের বেশিরভাগ আগ্রহই রাজনীতিতে পরিণত হয়েছে।
প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল জানান, বেশিরভাগ একক-প্রেক্ষাগৃহে এখন পুরনো ছায়াছবি চলছে। তার মতে, ‘‘এমনিতেই দেশে একক-প্রেক্ষাগৃহ ধুঁকে ধুঁকে চলছে, তার ওপর এত বড় ধাক্কা। দুই ঈদ ছাড়া বছরের বেশিরভাগ সময় খরচ ওঠাতেই হিমশিম খেতে হয় প্রেক্ষাগৃহ-মালিকদের।”
রেদওয়ান রনি মনে করেন, মানুষের বর্তমান মন-মানসিকতা ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। তার কথায়, ‘‘কনটেন্টে আমরা আবেগকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। সেক্ষেত্রে মানুষ যত জলদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে তত আমাদের জন্য ভালো হবে।”
অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মামুন অপু বলেন, ‘কোরবানির ঈদের পর কাজ কিছুটা কম থাকে। কিন্তু চার–পাঁচ মাস ধরে সাংঘাতিক রকমের কাজ কম। আমাদের সহশিল্পী অনেকের সঙ্গেই কথা হচ্ছে। তাঁরা করোনার সময়ের সঙ্গে তুলনা করছেন। তখন সাহায্য চাওয়ার মতো অবস্থা ছিল। অনেকের এখন সেটা বলার মতো অবস্থাও নেই।’
বিনোদন ও স্ব-বিজ অঙ্গনের বেশিরভাগ তারকাযই বর্তমানে ডিজিটাল প্লাটফর্মে যুক্ত রয়েছে, তবে শুধুমাত্র ডিজিটাল প্লাটফর্ম দিয়ে তাদের টিকে থাকা কঠিন, যার কারণে নিয়মিত কাজের পরিবেশ চান তারা। বাংলাদেশ কবে নাগাদ আবার বিনোদন অঙ্গন সক্রিয় হবে সেটা সময়ের অপেক্ষা মাত্র।