ইউএস বেঙ্গল বাংলাদেশ বুরোঃ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পতনের পর ভারতে পালিয়ে রয়েছে এযাবৎকাল পর্যন্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা রকম কল রেকর্ড এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে হুমকি দিয়ে আসছে এই স্বৈরশাসক।
তবে তাতে কোনই ফল আসছে না, বাংলাদেশের জনগণ তার কথায় কোন পাত্তা দিচ্ছে না। এমতাবস্থায় নেতা কর্মীদের মাঠে নামানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পলাতক এই আসামি। তবে দীর্ঘ চেষ্টার পর গত কয়েকদিনে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঝটিকা মিছিল করেছে এই স্বৈরাশাসকের দল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ব্যানারে।
তবে হুট করেই এ ধরনের ঝটিকা মিছিলে বাংলাদেশের জনমনে এক ধরনের অসস্তি দেখা দিয়েছে। এর ফলে পুলিশ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অনেককে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের পলাতক নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তাদের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ রয়েছে কেন্দ্রীয় সুবিধাবাদী নেতাদের প্রতি।
তাদের বেশিরভাগেরই কথা শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ দল ক্ষমতায় থাকতে হাজার হাজার কোটি টাকার সুবিধা নিয়ে বর্তমানে নিরাপদে পালিয়ে রয়েছে, কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলির পাঠা হচ্ছে।
এখন দলের দুঃসময়ে সুবিধাবাদী নেতারা পলাতক থেকে সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার জন্য চাপ দিচ্ছে।এতে তৃণমূল নেতাকর্মীরা অনেকেই খুবই বিরক্ত এই সকল সুবিধাবাদী নেতাদের উপর।তবে তাদের আবার আস্থা রয়েছে পলাতক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার উপর।তবে দিন যত যাচ্ছে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রবণতা ততই বাড়ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পর্যায়ের একজন দায়িত্বশীল পলাতক আওয়ামী লীগের নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের পলাতক নেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। তিনি এখন কর্মীদেরকেই নেতাদের ভূমিকা পালনের জন্য আদেশ দিচ্ছেন। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ মনে করছেন পুলিশ বাহিনীর মধ্যে এখনো পলাতক শেখ হাসিনার অনুসারী সংখ্যা বেশি। যে কারণে আওয়ামী লীগের তৎপরতা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
আগামী সময় বাংলাদেশের বর্তমান ডক্টর ইউনুস সরকারের কার্যক্রমই বলে দেবে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কোন দিকে।