ডেস্ক রিপোর্ট: দখলকৃত ইসরাইলি ভূখণ্ডের দিকে আবারও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হুথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। বুধবার ইসরাইলের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাতে এ খবর দিয়েছে ইরানী বার্তা সংস্থা মেহের।
ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলোর দাবি, ইয়েমেন থেকে তেলআবিবের দিকে ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলি সীমান্তের বাইরে প্রতিরোধ করা হয়েছে।
ইসরাইলি টিভি চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে দখলকৃত ভূখণ্ডের দিকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করেছে ইসরাইলের বিমান বাহিনী।
ইসরাইলের টিভি চ্যানেল ১৪-ও একই কথা জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটির মতে, ইয়েমেন থেকে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দিকে নিক্ষিপ্ত একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে।
ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলোর দাবি অনুযায়ী, ক্ষেপণাস্ত্রটি সৌদি আরবের আকাশসীমার মধ্যেই প্রতিরোধ করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বা হুথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি বাহিনী- কারো পক্ষ থেকেই তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইয়েমেনি সামরিক বাহিনী এর আগে গত ৪ মে ইসরাইলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিয়নে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সফল হামলা চালায়। এরপরই সেখানে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
ইসরাইলের চ্যানেল ১৩ জানিয়েছে, ইসরাইলি ‘অ্যারো’ এবং মার্কিন ‘থাড’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়। হামলায় অন্তত ৭ জন আহত হন এবং ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরটি বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।
ঘটনার পর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইয়েমেনে পাল্টা হামলার হুমকি দেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর হুথি গোষ্ঠী ইসরাইলের বিরুদ্ধে আকাশপথ অবরোধের ঘোষণা দেয়।
ইয়েমেনি সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেন, ‘গাজার বিরুদ্ধে শত্রুর হামলা সম্প্রসারণের জবাবে আমরা ইসরাইলি শত্রুর ওপর একটি পূর্ণাঙ্গ আকাশ অবরোধ আরোপ করছি, যা বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন বিমানবন্দরকে পুনঃপুনঃ লক্ষ্যবস্তু করবে।’
এরপরই হামলার জন্য হুথি আনসারুল্লাহ বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা দেন ওমানের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আহমেদ বিন হামাদ আল-খলিলি।
নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে আল-খলিলি বলেন, ‘আমরা সালাম জানাই বীর ইয়েমেনি যোদ্ধাদের, যারা সত্যের পক্ষে এবং অবিচার ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। আল্লাহ তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের এই মহান অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানাই। তারা শত্রুর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে। আল্লাহ তাদের এমন বিধ্বংসী অস্ত্র উদ্ভাবনের ক্ষমতা দিয়েছেন, যা শত্রুদের হতবাক করে দিয়েছে।’
এদিকে, ওই ঘটনার পরই মার্কিন বিমান বাহিনী ইয়েমেনের সাদা শহর ও রাজধানী সানার বিভিন্ন স্থানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে। যাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানায় ইয়েমেনের আল-মাসিরাহ টিভি চ্যানেল।