ডেস্ক রিপোর্ট: রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন বিভাগের পরিচালক ম্যাক্সিম মুসিখিন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিষয়ে শুনানিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, মস্কো অবিলম্বে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু করার এবং সংঘাতে জড়িত সকল জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
তার মতে, রাশিয়া ধারাবাহিকভাবে একটি নিঃশর্ত ও টেকসই যুদ্ধবিরতি, সকল জিম্মির মুক্তি, সকল আটক ব্যক্তির কাছে নিরাপদ ও বাধাহীন মানবিক প্রবেশাধিকার, দুই-রাষ্ট্র সমাধানের সাধারণভাবে স্বীকৃত আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে একটি শান্তি আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু করার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে।
মুসিখিন জানান, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থার (UNRWA) পরিবর্তে অন্যান্য সংস্থাগুলো দায়িত্ব নেবে, ইসরায়েলের এই অবস্থানের সঙ্গে রাশিয়া একমত নয়। তিনি বলেন, ইসরায়েল এবং তার সমর্থক রাষ্ট্রগুলো দাবি করে, অন্যান্য সংস্থাগুলো UNRWA-কে প্রতিস্থাপন করতে পারে। আমরা সম্মানের সঙ্গে অনুরোধ করছি, এই যুক্তি অনুসরণ না করতে।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরে কোনো সংস্থারই UNRWA-এর মতো অবকাঠামো নেই। UNRWA-এর অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে কয়েক ডজন ক্লিনিক এবং খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র রয়েছে, পাশাপাশি শত শত স্থানীয় কর্মীও রয়েছে। UNRWA ছাড়া গাজার মানবিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।
২৫ জানুয়ারি জাতিসংঘে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন সংস্থার মহাসচিবকে বলেন, UNRWA-এর উচিৎ ৩০ জানুয়ারি মধ্যে ইসরায়েলে তার সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া। ২৯ জানুয়ারি ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র ডেভিড মেনসার এক ব্রিফিংয়ে ঘোষণা করেন, ইসরায়েল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে UNRWA-এর সমস্ত অফিস বন্ধ করে দেবে, সংস্থার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করবে এবং ইহুদিবাদী সরকার এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করবে।
তবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক পরে বলেন, UNRWA উপর নিষেধাজ্ঞার পরেও, অধিকৃত অঞ্চলগুলোসহ, সবখানে এর কার্যক্রম চলছে।