ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির আহ্বানে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে বিশ্বের ১৫ দেশ। তারা হামাসের হাতে থাকা সব জিম্মির মুক্তি ও গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিরও আহ্বান জানিয়েছে।
মঙ্গলবার ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, এই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে অ্যান্ডোরা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পর্তুগাল, সান মারিনো, স্লোভেনিয়া ও স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ইসরাইল ও ফিলিস্তিন—দুইটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র যেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও নিরাপদ সীমানার মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে জাতিসংঘের প্রস্তাব ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
তারা গাজা ও পশ্চিম তীরকে একটি একক প্রশাসনিক কাঠামোর অধীনে প্যালেস্টাইন অথরিটির নিয়ন্ত্রণে আনার গুরুত্বও তুলে ধরেন।
বিবৃতিতে গাজায় ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি ও বেসামরিক হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং জরুরি সহায়তা পৌঁছাতে জাতিসংঘ ও এর বিভিন্ন সংস্থার ভূমিকাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা… ইতোমধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছি, কিংবা স্বীকৃতি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি অথবা ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছি যে—দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পথই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এতে বলা হয়, যেসব দেশ এখনো এই পথে আসেনি, আমরা তাদের এই আহ্বানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাই। আমরা গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী দিনের জন্য একটি কাঠামো গড়ে তোলার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ—যেখানে গাজার পুনর্গঠন, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ এবং ফিলিস্তিনি শাসনব্যবস্থা থেকে হামাসকে বাদ দেওয়া নিশ্চিত করা হবে।
সর্বশেষ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সেখানে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গুলিতে সহায়তা নেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে অন্তত ১,১৭৯ জন নিহত এবং ৭,৯৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। অব্যাহতভাবে বোমা বর্ষণে গাজার প্রায় সব এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সেখানে ভয়াবহ খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
গত নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

Discussion about this post