ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্সের’ (প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়) নাম পরিবর্তন করে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’ (যুদ্ধ মন্ত্রণালয়) করেছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত এক নির্বাহী আদেশে তিনি স্বাক্ষর করেছেন। খবর এনডিটিভির।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘ এটা অনেক বেশি উপযুক্ত নাম, বিশেষ করে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে।’
এছড়া তিনি নামটিকে ‘ওক’ (অর্থাৎ অতিরিক্ত প্রগতিশীল বা দুর্বলতাপূর্ণ) আখ্যা দেন।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পর তার ঘনিষ্ঠ কিছু সমর্থক কংগ্রেসে নতুন আইন প্রস্তাব করেছেন যাতে এই নাম পরিবর্তনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া যায়। কারণ কেবল কংগ্রেসেরই ক্ষমতা রয়েছে ফেডারেল দপ্তর প্রতিষ্ঠা, বিলুপ্ত বা নাম পরিবর্তনের। আইন পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত ট্রাম্প পেন্টাগনকে ‘দ্বিতীয় নাম’ হিসেবে এটি ব্যবহারের অনুমতি দেবেন।
ফ্লোরিডার রিপাবলিকান প্রতিনিধি ও সাবেক সেনা সদস্য গ্রেগ স্টিউবে বলেন, ‘১৭৮৯ সাল থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’-এর অধীনে লড়েছে। তাদের চিরন্তন উদাহরণ ও যুদ্ধশক্তিকে সম্মান জানাতে এ নাম পুনঃস্থাপন করাটাই যথাযথ।’
সেনেটর রিক স্কট (ফ্লোরিডা) এবং মাইক লি (উটাহ) সিনেট একই ধরনের আইন প্রস্তাব এনেছেন।
উল্লেখ্য, ১৭৮৯ সালে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার” প্রতিষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, ১৯৪৭ সালে প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান এক আইনের মাধ্যমে এটির নাম পরিবর্তন করে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স’ রাখা হয়। এতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং নবগঠিত বিমানবাহিনী একত্রিত হয়।
ট্রাম্প বলেন, ”আমরা তখন নাম পাল্টে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স’ করেছিলাম, যেন প্রতিরক্ষামুখী মনে হয়। কিন্তু এখন আবার ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’-এ ফিরছি।”
পেন্টাগনের প্রধান পিট হেগসেথ বলেন, ‘নাম পরিবর্তনের পর থেকে আমরা কোনো বড় যুদ্ধ জিতিনি। আমরা শুধু প্রতিরক্ষা নয়, আক্রমণেও যাব।’
অবশ্য ট্রাম্প আগে থেকেই বলে আসছিলেন যে, নামটি পরিবর্তন করতে চান কারণ এটি ‘শুনতে ভালো লাগে’। সম্প্রতি ফোর্ট বেনিং ঘাঁটিতে সৈন্যদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় হেগসেথও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, শিগগিরই নাম পরিবর্তন হবে।
গত মাসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘যখন এর নাম ছিল ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার, তখন আমাদের অবিশ্বাস্য জয়ের ইতিহাস ছিল। পরে আমরা নাম বদলাই, আর জয় কমে যায়।’
কংগ্রেসের অনুমোদন লাগতে পারে এমন প্রশ্নে ট্রাম্প জানান, ‘আমরা করেই ফেলব। প্রয়োজনে কংগ্রেসও সমর্থন দেবে।’

Discussion about this post