ডেস্ক রিপোর্ট: পরমাণু ইস্যু নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের সামরিক বাহিনীর সমরাস্ত্র বিষয়ক গবেষণা সংস্থা অর্গানাইজেশন অব ডিফেন্সিভ ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চের (এসপিএনডি) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিন সিনিয়র কর্মকর্তা ও একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
মঙ্গলবার (১৩ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
তিন কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের নাম-পরিচয় গোপন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে,নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়া এই কর্মকর্তারা ইরানের পরমাণু প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ওই তিন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় সম্পদ ইতোমধ্যে ফ্রিজ করা হয়েছে এবং যতদিন এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং কোনো মার্কিন প্রতিষ্ঠানও তাদের সঙ্গে কোনো প্রকার আর্থিক চুক্তি করতে পারবে না।
পৃথক এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি ধারাবাহিক ও উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারণ করে চলেছে এবং পারমাণবিক অস্ত্র এবং পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য দ্বৈত-ব্যবহারের গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ‘
তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বে ইরানই একমাত্র দেশ— যাদের কোনো পরমাণু অস্ত্র নেই কিন্তু ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত রয়েছে। ‘
প্রসঙ্গত, ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে বিরত রাখতে ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে ‘জ্যাকোপা’ নামে একটি চুক্তি করেছিলেন। তবে তার উত্তরসূরি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ সালে তার প্রথম মেয়াদে এই চুক্তি থেকে সরে আসে। যার ফলে, চুক্তিটি অকার্যকর হয়ে যায় এবং ইরানও তার পরমাণু প্রকল্পে মনোনিবেশ করে।
এরপর চলতি বছরে দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প নিজে ইরানের সঙ্গে সরাসরি সংলাপের আহ্বান জানিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে চিঠি দেন। ইরানের সরকারও তাতে সাড়া দেয়। কাতারের রাজধানী দোহায় চলছে ওয়াশিংটন ও তেহরানের কর্মকর্তাদের সংলাপ এবং ইরানের চাওয়া অনুযায়ী সংলাপে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় আছে ওমান।
সংলাপের চতুর্থ রাউন্ড শেষ হয়েছে গতকাল সোমবার। আর ওইদিনই তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করল ওয়াশিংটন।