ডেস্ক রিপোর্ট: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র সফরে আছেন। ইতোমধ্যে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাইডেন। তার জায়গায় ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বৃহস্পতিবার কমলা বৈঠক করলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে। কমলা জানিয়েছেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার গঠনমূলক ও খোলাখুলি কথা হয়েছে।
কমলা বলেন, ‘আমি আবার ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দায়বদ্ধতার কথা জানিয়েছি। ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। কিন্তু তারা কীভাবে এই অধিকার প্রয়োগ করছে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
‘আমি সেখানকার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আমার উদ্বেগের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছি। আমি এনিয়ে চুপ করে থাকব না’, যোগ করেন কমলা।
বাইডেনের সঙ্গে নেতানিয়াহুর বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কার্বি বলেছেন, ‘এই চুক্তি নিয়ে যেটুকু বিরোধ আছে, তা দূর করা সম্ভব।’
হোয়াইট হাউসের অন্যান্য কর্মকর্তারা জানান, ‘যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা এখন প্রায় শেষের দিকে। কিছু বিষয়ে মতৈক্য হলেই তা বাস্তবায়নের পথে আর কোনো বাধা থাকবে না।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, দ্রুত এই চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে।’
নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন গত ৫০ বছর ধরে ইসরায়েলকে সমর্থন করেছেন। তার এই ৫০ বছরব্যাপী জনসেবা ও ইসরায়েলকে সমর্থন জানানোর উদ্যোগের জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। তার সঙ্গে আলোচনা করার জন্য আমি উৎসুক।’
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জাতিসংঘের এজেন্সি ইউএনআরডাব্লিউএকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। প্রতিক্রিয়ায় ইইউ’র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেন, ‘এটা একেবারেই অর্থহীন কথা।’
বোরেল জানিয়েছেন, ‘ইসরায়েল সরকারের উচিৎ এ ধরনের অর্থহীন কথা বলা বন্ধ করা।’

Discussion about this post