Print Date & Time : 20 April 2025 Sunday 12:48 pm

নেতানিয়াহুকে ইসরায়েলিরাই হত্যা করবে : লেবাননের যোদ্ধাপ্রধান

ডেস্ক রিপোর্ট: ইসরায়েলি হামলায় লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। এরপর গোষ্ঠীটির নতুন প্রধান হয়েছেন নাইম কাসেম। দায়িত্ব পাওয়ার পর নেতানিয়াহুকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন হিজবুল্লাহপ্রধান।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন প্রধান হওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে হুমকি দিয়েছেন নাইম কাসেম। একইসঙ্গে যুদ্ধবিরতির দরজা খোলা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নাইম কাসেম বলেন, নেতানিয়াহু হিজবুল্লাহর হামলার ভয়ে নিজের জীবননাশের আশঙ্কা করছেন। একজন ইসরায়েলিই একদিন তাকে হত্যা করবে বলেও তিনি জানান।

প্রধান হওয়ার পর বুধবার প্রথম টেলিভিশনে ভাষণ দেন নাইম কাসেম। তিনি বলেন, আমাদের গ্রাম ও শহরগুলোতে বোমা হামলা করে আমাদের পিছু হটানো যাবে না। শত্রুদের বিষয়টি স্পষ্ট জানতে হবে। আমাদের প্রতিরোধ আরও শক্তিশালী হবে।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। ড্রোনটি তার শোয়ার ঘরে আঘাত হেনেছে। তবে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হামলার সময় নেতানিয়াহু ও তার পরিবারের সদস্যরা সেখানে ছিলেন না।

হিজবুল্লাহর প্রধান বলেন, আমরা তার ঘরে ড্রোন পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। এবার নেতানিয়াহু বেঁচে গেছেন। সম্ভবত তার সময় এখনও আসেনি। একজন ইসরায়েলি সম্ভবত তাকে হত্যা করবে। বক্তৃতার সময় হয়তো তিনি হত্যার শিকার হবেন।

তিনি বলেন, আমাদের কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে নেতানিয়াহু খুব ভীত-সন্ত্রস্ত। কেননা আমরা তাকে লক্ষ্যবস্তু করেছি।

এর আগে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর ইসরায়েল কড়া প্রতিক্রিয়া জানায়। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, নাইম কাসেমের মেয়াদও হবে সাময়িক। তিনিও বেশিদিন টিকবেন না।

উল্লেখ্য, হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যায় লেবাননের বৈরুতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ইসরায়েল বোমা হামলা চালায়। সেখানে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। অনেক আবাসিক ভবনধসে পড়ে। মাটিতে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। আকাশ ধুলাবালি ও ধোঁয়ায় ভরে ওঠে। পুরো লেবানন থেকে ওই দৃশ্য দেখা যায়। এ হামলা হয় মাটির নিচে থাকা হিজবুল্লাহর বাংকার লক্ষ্য করে। এ হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। ইসরায়েলের এক সপ্তাহ ধরে চালানো হামলায় ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর নাসরুল্লাহর মৃত্যুর খবর আসে।

তারও এক সপ্তাহ আগে এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে লক্ষ্য করে পরপর অসংখ্য ওয়াকিটকি এবং পেজার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে কমপক্ষে ৩২ জন নিহত এবং তিন হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছিল।