ডেস্ক রিপোর্ট: কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে কাজ করা কিংবা অবসর সময়ে হেডফোন লাগিয়ে উচ্চ ভলিউমে গান শুনেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। তবে দীর্ঘ সময় ধরে এই হেডফোনের ব্যবহার স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। বিশেষকরে এটি মস্তিষ্ক এবং শ্রবণশক্তির ব্যপক ক্ষতি করতে পারে।
৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার শব্দ কানে গেলে শ্রবণ জটিলতা ঘটতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে ১০০ ডেসিবেলের উপরে হেডফোন ব্যবহার করলে মাত্র ১৫ মিনিটেই নষ্ট হতে পারে শ্রবণশক্তি।
হেডফোনের দ্বারা সৃষ্ট ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ মানব মস্তিষ্কের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। আর ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহারে এই ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়।
আমেরিকান অস্টিওপ্যাথিক অ্যাসোসিয়েশনের মতে, হেডফোন ব্যবহারের সাথে শ্রবণশক্তি হ্রাস বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন কিশোর-কিশোরী কোনো না কোনো ধরনের শ্রবণশক্তি জনিত সমস্যার সম্মুখীন হয় যা ২০ বছর আগের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি।
দীর্ঘ সময় ধরে হেডফোন ব্যবহার করলে কানের ভেতরে এক প্রকার গুঞ্জন শব্দের সৃষ্টি হতে পারে যা খুবই অস্বস্তিকর।এছাড়াও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে শুনতে অসুবিধা হয়।মানুষের শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে পারে।
চীনা চিকিৎসক লি টাও জানিয়েছে, কানের স্নায়ুর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়লে শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়ার মতো সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। খুব জোরে গান শুনলেই শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে এমনটা নয়। একটানা অনেকক্ষণ ধরে গান শুনলেও একই রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই লি সকলকে ‘৬০-৬০’ নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। অর্থাৎ গান বা যন্ত্রসঙ্গীত যাই শুনুন তা একটানা ৬০ মিনিটের বেশি শোনা যাবে না এবং শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেলের মধ্যে থাকতে হবে।