ডেস্ক রিপোর্ট: থাইল্যান্ডে মৌসুমি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ২২ জনের মৃত্যু ও ১৯ জন আহত হয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) থাই কর্তৃপক্ষ জানায়, ৩০ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কিছু প্রদেশে আরও বন্যার ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের ফুকেট দ্বীপে ভূমিধসে নিহতদের মধ্যে একজন রুশ দম্পতি ও মিয়ানমার থেকে আসা ৯ জন অভিবাসী কর্মী রয়েছেন। গত সপ্তাহে দেশটির ১২টি প্রদেশে প্রবল বৃষ্টির কারণে এই দুর্যোগের ঘটনা ঘটে।
প্রধানমন্ত্রী পাতেংতার্ন শিনাওয়াত্রা উত্তরাঞ্চলীয় নান এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িতে গিয়ে খাবার সরবরাহ করেছেন।
এদিকে, থাই-চীন রেলওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের একটি সুড়ঙ্গ ধসে পড়ায় তিনজন কর্মী আটকা পড়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা তাদের বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছে পরিবহন মন্ত্রণালয়।
উত্তরাঞ্চলের চিয়াং রাই, সুকথাই এবং প্রায়ের মতো পাঁচটি প্রদেশে বন্যা পরিস্থিতি এখনও গুরুতর রয়ে গেছে। চাও ফ্রায়া নদীর আশেপাশের এলাকায়, বিশেষ করে রাজধানী ব্যাংককে পানির উচ্চতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

Discussion about this post