Print Date & Time : 21 April 2025 Monday 9:00 pm

তুর্কি ভেবে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করল সিরিয়ার বিদ্রোহীরা

ডেস্ক রিপোর্ট: শুধু একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিল তিন দেশ। বাশার আল আসাদ দেশ ছেড়ে পালানোর সঙ্গে সঙ্গেই সিরিয়ায় বড় ধরনের বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার জন্য মাঠে নেমে পড়ে ইসরায়েল ও তুরস্কও। তারাও সিরিয়ায় বিমান হামলা চালায়। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি থাকায় এতদিন এই তিন দেশ, যতটা সংযত ছিল, বাশার আসাদের পতনেই ততটাই অসহিষ্ণু হয়ে ওঠে তারা।

অত্যাধুনিক বি-৫২ বোমারু বিমান, এফ-১৫ ও এ-১০ যুদ্ধবিমান নিয়ে সিরিয়ায় ৭৫টি হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলও সিরিয়াজুড়ে বিমান হামলা চালায়। দেশটির বিমান ও নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও অস্ত্র গুদামেও হামলা চালায় তেল আবিব। ইসরায়েলের অভিযান কিংবা গোলান মালভূমির বাফার জোন দখল করে নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র কিছুই বলেনি।

কিন্তু তুরস্ক যখন মানবিজ এবং উত্তরাঞ্চলীয় সিরিয়ায় সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস-এসডিএফ’র যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালায় প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখায় ওয়াশিংটন। বিশেষ করে পেন্টাগনকে এ নিয়ে বেশি সরব হতে দেখা যায়। ওই হামলার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এসডিএফ। এরপর তারা যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন ভূপাতিত করে। গ্রুপটি ভেবেছিল ওই ড্রোনটি তুরস্কের।

সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ঘটনার পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা কী হয়, তা দেখব আমরা। তবে এ ধরনের ঘটনা দ্বিতীয়বার সহ্য করা হবে না। ওই কর্মকর্তা তুরস্কের অ্যাকশনের দিকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন।

এর আগেও এসডিএফ যোদ্ধাদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। এ নিয়ে তখন তুরস্ককে সতর্কও করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তাতে কান দেননি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।