Print Date & Time : 20 April 2025 Sunday 11:10 am

ট্রুডোর উত্তরসূরির নাম ঘোষণার পথে কানাডা

ডেস্ক রিপোর্ট: কানাডার বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি রোববার নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে ট্রুড্রোর এই উত্তরসূরি পার্টির প্রধান এবং সরকার প্রধান দুইই হবেন।

ট্রুডো ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত জানুয়ারিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পরই কানাডায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন নেতা বেছে নিচ্ছে লিবারেল পার্টি। ভোটাভুটির মাধ্যমে এই নেতা বেছে নেওয়া হচ্ছে।

ট্রুডোর উত্তরসূরি হওয়ার দৌড়ে আছেন চার জন। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত সবচেয়ে এগিয়ে আছেন সাবেক সেন্ট্রাল ব্যাংক কর্মকর্তা মার্ক কার্নে। ব্যাঙ্ক অব কানাডার গভর্নর ছিলেন তিনি। ট্রুডোর মন্ত্রিসভার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই তাকে সমর্থন দিয়েছে।

তাছাড়া, ফেব্রুয়ারিতে মেইনস্টিট জরিপ সংস্থা পরিচালিত জরিপে কার্নে লিবারেলদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ সমর্থন পেয়েছিলেন। আর তার প্রধান প্রতিপক্ষ সাবেক অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পেয়েছিলেন ৩১ শতাংশ সমর্থন।

ক্রিস্টিয়া গত ডিসেম্বরে ট্রুডোর মন্ত্রিসভা থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। তার পর থেকেই ট্রুডোর বিরুদ্ধে মন্ত্রিসভায় এবং তার দলের ভেতরে অসন্তোষ প্রকট হয়েছিল। যার জেরে জানুয়ারিতে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রুডো।

কার্নে এবং ক্রিস্টিয়াকেই লিবারেল পার্টিতে ট্রুডোর বিরুদ্ধে ‘প্রকৃত’ প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করা হচ্ছে। ৫৯ বছর বয়সী কার্নে নির্বাচিত হলে তিনি হবেন কানাডার প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যার মন্ত্রিসভায় কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই।

কার্নে ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর থাকার পর ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের প্রথম অ-ব্রিটিশ গভর্নর হিসাবেও নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই অভিজ্ঞতা থাকার কারণে যে কোনও অর্থনৈতিক সঙ্কট তিনি সহজে মোকাবেলা করা এবং ট্রাম্পকেও তিনি ভালভাবে সামাল দিতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

কানাডার লিবারাল পার্টির প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার সদস্য নতুন নেতা নির্বাচনের উদ্দেশ্যে গোপন ভোট দিয়েছেন। এরই ফল ঘোষণা হবে রোববার।

নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পরই কানাডায় সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তা যদি না হয়, তাহলে বিরোধী দল এ মাসেই অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনে সরকারকে বাধ্য করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রে ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে কানাডার বিরুদ্ধে একের পর এক হুমকি দিয়ে এসেছেন। কখনও কানাডা সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

কখনও কানাডার পণ্যে ২৫ শতাংশ বাড়তি কর চাপানোর কথা বলেছেন। যদিও এই সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ পরিস্থিতিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে যে লিবারেল নেতাই আসীন হন না কেন, তার জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবেন ট্রাম্প।

কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে থাকা চার নেতাই ট্রাম্প-বিরোধী। প্রচারে তারা বার বারই ট্রাম্পের প্রসঙ্গ টেনেছেন, করেছেন কটাক্ষও।