ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা’ চালানোর অভিযোগ তুলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বলেছেন, তিনি ইউক্রেনকে দায়ী করে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছেন।
বুধবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, ট্রাম্প এমন একটি ‘বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের বলয়ে’ বাস করছেন, যা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন একটি বিভ্রান্তিকর জায়গায় অবস্থান করছেন, যেখানে তিনি সত্য দেখতে পাচ্ছেন না’।
ট্রাম্পের দাবি ও জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্প সম্প্রতি দাবি করেন যে, ইউক্রেনের কারণেই রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হয়েছে এবং কিয়েভ যদি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারত, তাহলে এই যুদ্ধ এড়ানো যেত।
এছাড়া ট্রাম্প প্রশ্ন তোলেন জেলেনস্কির বৈধতা নিয়েও। দাবি করে বলেন, তার (ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট) জনপ্রিয়তা মাত্র ৪ শতাংশ।
জেলেনস্কি ট্রাম্পের এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘আমরা জানি এই বিভ্রান্তিমূলক তথ্য কোথা থেকে আসছে—এটি রাশিয়ারই প্রচারণার অংশ’।
যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া গোপন আলোচনা ও ইউক্রেনের ক্ষোভ
এদিকে মঙ্গলবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ সমাপ্তি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের বাদ রেখে আলোচনা করা মানে পুতিনকে দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতা থেকে মুক্তি দেওয়া। যা তাকে আরও শক্তিশালী করবে’।
তবে ট্রাম্প এই আলোচনা থেকে ইউক্রেনকে বাদ দেওয়ার সমালোচনা উড়িয়ে দিয়েছেন এবং উল্টো জেলেনস্কির নেতৃত্ব নিয়েই প্রশ্ন তোলেন।
ইউক্রেনের দুর্মূল্য খনিজ সম্পদের বিনিময়ে সমর্থন দেওয়ার প্রস্তাব
জেলেনস্কি আরও অভিযোগ করেন, আমেরিকা ৬৭ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও ৩১.৫ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তার বিনিময়ে ইউক্রেনের ৫০০ বিলিয়ন ডলারের দুর্মূল্য খনিজ সম্পদ দাবি করছে। যাকে তিনি ‘গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা নয়, বরং দেশ বিক্রির শামিল’ বলে অভিহিত করেন।
দোটানায় ইউরোপ
এদিকে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে সম্ভাব্য সমঝোতা ইউরোপীয় নেতাদের জন্য একটি কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। যদি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইউক্রেনকে সমর্থন কমিয়ে দেন, তাহলে ইউরোপ কী করবে—এই প্রশ্ন এখন তাদের সামনে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবর : ইরনা

Discussion about this post