ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আলজেরিয়া, ব্রুনেই, ইরাক, লিবিয়া, মলদোভা ও ফিলিপাইন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বুধবার এক নতুন ঘোষণায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই শুল্ক আরোপ করেছেন। প্রেসিডেন্টের জারি করা চিঠিতে এসব দেশের জন্য ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে আলজেরিয়া ৩০ শতাংশ, ব্রুনেই ২৫ শতাংশ, ইরাক ৩০ শতাংশ, লিবিয়া ৩০ শতাংশ, মলদোভা ২৫ শতাংশ ও ফিলিপাইনের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। এই নতুন শুল্কহার এপ্রিল মাসে ঘোষিত হারগুলোর তুলনায় কিছুটা কম হলেও আগের ১০ শতাংশ সাধারণ শুল্কনীতির চেয়ে অনেক বেশি।
ট্রাম্প প্রশাসন এসব বাড়তি শুল্ককে ‘অসমতা’ ও ‘অপারস্পরিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক’-এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। চিঠিতে দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রেই পণ্য উৎপাদনে উৎসাহিত করা হয়েছে, যাতে তারা এই শুল্ক এড়াতে পারে। একই সঙ্গে শুল্কের প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। ৩ জুলাই থেকে এই শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তা পিছিয়ে আগামী ১ আগস্ট নির্ধারণ করেছেন।
ট্রাম্প শুধু দেশভিত্তিক শুল্ক আরোপেই থেমে থাকেননি, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর তিনি ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও অটোমোবাইল খাতে আলাদা করে শুল্ক আরোপ করেছেন। এ ছাড়া গতকাল মঙ্গলবার তিনি ঘোষণা দেন, তামা এবং ওষুধশিল্প খাতেও নতুন করে শুল্ক আসছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনশিল্প বাড়াতে এবং চীনের মতো শক্তিশালী বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে ভারসাম্য তৈরির কৌশলের অংশ। তবে সমালোচকেরা বলছেন, এমন শুল্কনীতি বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলবে এবং ছোট দেশগুলোর জন্য মার্কিন বাজারে প্রবেশ আরও কঠিন হবে।

Discussion about this post