ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগেই মার্কিন নাগরিক এডান আলেকজান্ডারকে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তিনি ইসরাইলি বাহিনীর একজন সদস্য।
সোমবার এডানকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চত করেছে হামাস। খবর আলজাজিরার।
হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এইমাত্র আল কাসেম ব্রিগেড (হামাসের সামরিক শাখা) জায়নবাদী সেনাসদস্য ও মার্কিন নাগরিক এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দিয়েছে। একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর জন্য মধ্যস্থতাকারীরা যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হামাসের যোগাযোগের পর তাকে মুক্তি দেওয়া হলো।’
হামাসের সঙ্গে যোগাযোগ আছে এমন একটি সূত্র জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে রেডক্রসের হাতে এডান আলেকজান্ডারকে তুলে দেওয়া হয়। পরে তার ইসরাইলের ভূখণ্ডে পৌঁছানোর খবর নিশ্চিত করে দেশটির সরকার। যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হামাস সরাসরি যোগাযোগ করছে—এমন তথ্য সামনে আসার পরই এডানকে মুক্তি দেওয়া হলো।
আজ মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে সৌদি আরবে পৌঁছানোর কথা আছে ট্রাম্পের। এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত অ্যাডাম বোয়েলার বলেছিলেন, মুক্তি দেওয়ার খবরটি একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। জিম্মি অপর চার মার্কিন নাগরিকের লাশ ফেরত দেওয়ার জন্য হামাসের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় হামাস। ইসরাইলি হিসাবে ওই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৫৮ জন এখনো গাজায় বন্দি রয়েছেন। এই জিম্মিদের ৩৪ জনই মারা গেছেন বলে দাবি ইসরাইলের।
হামাসের হামলার দিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরাইল। উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, তখন থেকে ইসরাইলের হামলায় গাজায় প্রায় ৫৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় এক লাখ ২০ হাজার ফিলিস্তিনি। এদিকে ইসরাইলি সব জিম্মি মুক্ত না হওয়ায় ক্রমেই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরাইলিদের ক্ষোভ বাড়ছে।