ডেস্ক রিপোর্ট: জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় কাগোশিমা প্রিফেকচারে টাইফুন শানশানের আঘাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে কিউশু দ্বীপের সাতসুমাসেনদাই শহরের কাছে ঝড়টি আঘাত হানে। ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে বিমান চলাচল। আড়াই লাখেরও বেশি পরিবার বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, টাইফুনটি ঘণ্টায় ১৯৮ কিলোমিটার (১২৩ মাইল) বেগে আঘাত হেনেছিল।
এটি এই অঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হতে পারে বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। বেশ কয়েকটি প্রিফেকচারে লাখো বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার।
প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি বলেছেন, টাইফুনের কারণে তিনজন মারা গেছেন এবং আরও সাতজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। একজন নিখোঁজ।
একটি নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে হায়াশি বলেন, ‘টাইফুনটি যেহেতু ধীরগতিতে চলছে, তাই মোট বৃষ্টির পরিমাণ অনেক বেশি হতে পারে।’
কিউশু ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির মতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সাতটি প্রিফেকচারের আড়াই লাখেরও বেশি পরিবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হচ্ছে।
আগামী কয়েক দিন কিউশুতে অবস্থানের পর সপ্তাহান্তে ঝড়টি রাজধানী টোকিওসহ মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের দিকে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া সংস্থা।
এএনএ হোল্ডিংস (৯২০২.টি) এবং জাপান এয়ারলাইন্স (৯২০১.টি)-সহ অন্যান্য এয়ারলাইন্সগুলো ইতোমধ্যেই ৬০০টিরও বেশি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে৷
কিউশুর অনেক এলাকায় ট্রেন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।

Discussion about this post