ডেস্ক রিপোর্ট: ত্বক ও চুলের যত্নে ঘরোয়া মাস্ক কিন্তু দারুণ কার্যকর। এগুলো প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি হয় বলে নেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। চুলের বৃদ্ধি, চুলের গোড়া মজবুত করা এবং মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ঘরে তৈরি হেয়ার মাস্ক পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী উপায়। জেনে নিন চুলের যত্নে কীভাবে তৈরি করবেন মাস্ক।
১। মেথি ও দই
মেথির বীজে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং প্রোটিন থাকে, যা চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং চুলের বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। দই ও মেথির প্যাক চুল শক্তিশালী ও উজ্জ্বল করে। খুশকি এবং শুষ্কতার সঙ্গেও লড়াই করে এটি। নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের অকালে পেকে যাওয়া রোধ করা সম্ভব হয়। মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন পেস্ট বানিয়ে নিন। এর সঙ্গে টক দই মিশিয়ে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের জন্য চুলে লাগিয়ে রাখুন। মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২। পেঁয়াজের রস ও নারকেল তেল
চুলের গোড়া পরিষ্কার করার পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় পেঁয়াজের রস ও নারকেল তেলের মাস্ক। পেঁয়াজের রসে সালফার থাকে যা চুলকে শক্তিশালী করে। নারকেল তেলের সাথে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে এর ময়েশ্চারাইজিং এবং প্রতিরক্ষামূলক বৈশিষ্ট্য আরও শক্তিশালী হয়, যার ফলে চুল ঝরে না। দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল এবং পেঁয়াজের রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে।
৩। অ্যালোভেরা এবং অলিভ অয়েল
অ্যালোভেরায় এমন এনজাইম থাকে যা মাথার ত্বকের মৃত কোষ মেরামত করতে, চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল এবং অলিভে অয়েলের মিশ্রণ চুল উজ্জ্বল করে, চুলের গোড়া মজবুত করে এবং ভাঙা রোধ করতে সাহায্য করে। এই হাইড্রেটিং মিশ্রণটি শুষ্ক বা কোঁকড়ানো চুলের জন্য বিশেষভাবে আদর্শ। দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বক থেকে চুলের আগা পর্যন্ত লাগান। ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।

Discussion about this post