ডেস্ক রিপোর্ট: ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্তা শিন বেতের প্রধান রোনেন বারের বরখাস্তের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির হাইকোর্ট। ইসরাইলি মন্ত্রিসভায় তাকে আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে অপসারণের সিদ্ধান্তের কয়েক ঘণ্টা পরই এই আদেশ দিল হাইকোর্ট।
বারের বরখাস্তের বিরুদ্ধে দাখিল করা আবেদনের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে। আদালত জানিয়েছে, আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে আবেদনের শুনানি হবে।
হাইকোর্টের এই রায় ইসরাইলি সরকার ও মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে অমান্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর ফলে ইসরাইলি নাগরিক সমাজের বৃহৎ অংশের সমর্থনে থাকা বিচার ব্যবস্থার মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রধান শ্রমিক ইউনিয়ন এবং ব্যবসায়িক ফোরাম সরকার আদালতের আদেশ না মানলে দেশব্যাপী ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছে।
শিন বেতের প্রধান রোনেন বারের বরখাস্তের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের জন্য বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় বৈঠক করে ইসরাইলি মন্ত্রিসভা। নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতিক্রমে বারকে বরখাস্তের পক্ষে মত দেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১০ এপ্রিল দায়িত্ব শেষ হবে বারের।
২০২১ সালের অক্টোবরে শিন বেতের প্রধান হিসেবে পাঁচ বছর মেয়াদে বারকে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
নেতানিয়াহু গত রোববার এক ভিডিও বিবৃতিতে বারকে বরখাস্ত করার বিষয়ে তার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছিলেন। তখন তিনি বারের সঙ্গে তার চলমান অবিশ্বাসের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই অবিশ্বাস আরও বেড়েছে।
নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপ ইসরাইলিদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে। তেল আবিবে তীব্র হয় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। এছাড়া ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের নতুন করে হামলার বিরুদ্ধে জেরুজালেমে চলা বিক্ষোভে যোগ দেন হাজারো ক্ষুব্ধ ইসরাইলি।