ডেস্ক রিপোর্ট: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে দ্রুতই নিজেদের সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইসরাইল। সম্প্রতি হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময় আলোচনায় অগ্রগতি হওয়ার পর শনিবার এ অনুমোদন দেয় দখলদার সরকার।
রোববার ইসরাইলি দৈনিক হারেৎজ-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলোচনায় অগ্রগতির পর সেনাদের দ্রুত প্রত্যাহারের জন্য বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।
পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে নেটজারিম করিডোর ব্যবহার করে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত ছিল। যা গাজাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে।
যদিও গাজায় এরই মধ্যে ব্যাপক অবকাঠামো ও অবস্থান গড়ে তুলেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তবুও তারা বলেছে যে, তারা তাদের ‘সেনা সরিয়ে নিতে প্রস্তুত’ এবং সরকারের সঙ্গে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর (হামাস) যেকোনো চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন করবে।
তবে ইসরাইলি সেনাবাহিনী ঠিক কবে নাগাদ তাদের সেনা সদস্যদের গাজা থেকে সরিয়ে নেবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমটি।
আলোচনার অগ্রগতি
এর আগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছিল যে, আলোচনার জন্য গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নেয়া এবং শিন-বেতের প্রধান রোনেন বারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কাতারে পাঠানো হবে।
সেই মোতাবেক ইসরাইলের ওই দুই প্রতিনিধি আলোচনার জন্য শনিবার কাতারে পৌঁছান।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অবশ্য ওই ঘোষণা দেওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এদিকে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনথের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে বন্দি বিনিময় চুক্তির ৯০ শতাংশ বিবরণ ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তেমন কিছুই জানায়নি গণমাধ্যমটি।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই হামলাগুলো গাজার স্কুল-আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে।
মন্ত্রণালয়টির মতে, এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা শুরুর পর থেকে অন্তত ৪৬,৫৬৫ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,০৯,৬৬০ জন আহত হয়েছেন।
অব্যাহত ইসরাইলি হামলায় গাজায় চলমান সহিংসতা মানবিক সংকট আরও গভীর করছে। যেখানে নাগরিক অবকাঠামো ধ্বংস এবং নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব পরিস্থিতিকে ক্রমেই অবনতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। খবর : আনাদোলু এজেন্সি ও আল-জাজিরা
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post