ডেস্ক রিপোর্ট: গাজা শহরে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় স্থল হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ একশো’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত অনেকে। শনিবার (১০ আগস্ট) গাজার বেসামরিক জরুরি সংস্থা জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। খবর আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস এই হামলাকে রক্তাক্ত গণহত্যা বলে উল্লেখ করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, শনিবার আল-তাবিন স্কুলে হামাস সন্ত্রাসী এবং কমান্ডারদের আস্তানায় হামলা চালিয়েছে তাদের বিমান বাহিনী।
এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, স্কুলে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের দাবি ‘বেসামরিক নাগরিক, স্কুল, হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর অজুহাত। এসবই মিথ্যা অজুহাত। তাদের করা অপরাধকে ন্যায্যতা দেওয়ার মিথ্যা প্রচেষ্টা।’
এই গণহত্যা বন্ধ করতে এবং গাজার অরক্ষিত নাগরিকদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান ইহুদিবাদী আগ্রাসন বন্ধ করতে আরব ও ইসলামিক দেশ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক ইসমাইল আল-থাওয়াবতা।
ইসরায়েলি হামলাকে জঘন্য রক্তাক্ত গণহত্যা বলেছে ফিলিস্তিনের বিরোধী গোষ্ঠী ফাতাহ। গত মাসে হামাসের সঙ্গে জাতীয় ঐক্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তারা।
এই হামলাকে গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধ বলে নিন্দা করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল আবারও দেখিয়েছে যে তারা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়।
ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সেক্রেটারি আলী শামখানি বলেছেন, ইসরায়েল সরকারের লক্ষ্য ছিল যুদ্ধবিরতি আলোচনাকে ব্যর্থ করা এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া।
কাতার এই হামলাকে ‘ভয়াবহ গণহত্যা এবং অরক্ষিত বেসামরিকদের বিরুদ্ধে একটি নৃশংস অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
স্কুলে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মিসর, জর্ডান, সৌদি আরব, লেবানন, তুরস্ক, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইসলামিক ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো। ‘এই গণহত্যার কোন যৌক্তিকতা নেই’ বলে দাবি করেছে তারা।

Discussion about this post