ডেস্ক রিপোর্ট: ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী উত্তর গাজার জাবালিয়া শিবির থেকে আড়াই লক্ষেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে তথাকথিত ‘মানবিক অঞ্চলে’ উচ্ছেদ করেছে। হিব্রু সংবাদ সাইট ওয়ালার প্রতিবেদনের বরাতে তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটি শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে হিব্রু সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চলমান আক্রমণের অংশ হিসেবে গণ-স্থানান্তরের এই ঘটনাটি ঘটেছে। এতে দাবি করা হয়, ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের ভূগর্ভস্থ এবং ভূ-উপরিস্থ অবকাঠামোতে ফিরে যেতে বাধা দেওয়ার জন্য এটি করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম ওয়ালার প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েল ‘মানবিক অঞ্চলে’ বলতে কী বুঝিয়েছে, তা স্পষ্ট হয়। নেতানিয়াহুর সরকার এর আগে খান ইউনিস এবং দেইর আল-বালাহের মধ্যবর্তী উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর দিকে ইঙ্গিত দিয়েছিল।
টিআরটির প্রতিবেদন অনুসারে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ওইসব অঞ্চলেও মারাত্মক হামলা চালিয়ে শত শত বাস্তুচ্যুত বেসামরিক লোককে হত্যা করা হয়েছিল।
হিব্রু মিডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণ কয়েক মাস স্থায়ী হতে পারে। ‘যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দক্ষিণাঞ্চলে গাজার জনসংখ্যার সম্পূর্ণ স্থানান্তর’ করার পরিকল্পনা রয়েছে নেতানিয়াহুর। একই সাথে আক্রমণকৃত অঞ্চলগুলোতে স্থায়ী ‘সামরিক দখল’ বজায় রাখা হবে।
হারেৎজ সংবাদপত্রসহ ইসরায়েলি গণমাধ্যম ২২ মে আগামী দুই মাসের মধ্যে গাজার ৭৫ শতাংশ দখলের পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করে।
আনাদোলু এজেন্সির মতে, অনেক ফিলিস্তিনিকে উত্তর গাজার তাদের এলাকা ছেড়ে গাজা সিটির পশ্চিমাঞ্চলে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। সেখানে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মারাত্মক আক্রমণ তীব্র করছে এবং উত্তর গাজায় সাহায্য প্রবেশ নিষিদ্ধ করছে। এটি দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলছে।

Discussion about this post