Print Date & Time : 18 October 2025 Saturday 6:54 pm

গাজার কিছু অংশ থেকে সরতে শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী

ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ইসরাইলি সেনারা গাজার কিছু অংশ থেকে সরতে শুরু করেছে। স্থানীয় কিছু বাসিন্দাও ইতিমধ্যে বিধ্বস্ত এলাকায় ফিরে এসেছেন। তবে আদৌ সংঘাতের অবসান হচ্ছে কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা।

গাজা সিটির শেখ রাদওয়ান এলাকার বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সি ইসমাইল জায়দা বলেন, আমার বাড়িটি যে এখনো দাঁড়িয়ে আছে, তা নিয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাচ্ছি। তবে জায়গাটা ধ্বংস হয়ে গেছে। আমার প্রতিবেশীদের ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, পুরো এলাকা গুঁড়িয়ে গেছে।

যুদ্ধবিরতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে রাদওয়ান বলেন, তারা যেভাবে বলছে, আদৌ কি তা শেষ হয়েছে? কেন কেউ এসে আমাদের বলছে না যে সত্যিই যুদ্ধবিরতি হয়েছে এবং আমরা নির্ভয়ে থাকতে পারি কি না।

ইসরাইল সরকার শুক্রবার সকালে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় সহিংসতা থামানো সম্ভব হবে এবং এরপর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আটক ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে।

গাজা সিটির শেখ রাদওয়ান এলাকার বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সি ইসমাইল জায়দা বলেন, আমার বাড়িটি যে এখনো দাঁড়িয়ে আছে, তা নিয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাচ্ছি। তবে জায়গাটা ধ্বংস হয়ে গেছে। আমার প্রতিবেশীদের ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, পুরো এলাকা গুঁড়িয়ে গেছে।

গাজায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রথম ধাপে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরাইল। পরিকল্পনার এ ধাপে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার শুরু হবে।

গাজা উপত্যকার দক্ষিণে খান ইউনিস শহরের বাসিন্দারা বলেছেন, ইতিমধ্যে পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা থেকে কিছু ইসরাইলি সেনা সরে গেছেন। তবে ট্যাংকের গোলার শব্দ শোনা গেছে।

গাজার কেন্দ্রস্থল নুসেইরাত শিবিরে দেখা গেছে, সেনারা তাদের অবস্থান থেকে সরে পূর্বে ইসরাইলি সীমান্তের দিকে চলে গেছেন। তবে আজ ভোরে গুলির শব্দ শোনার পর অন্য কিছু সেনা ওই এলাকায় অবস্থান নেন।

ইসরাইলি বাহিনী গাজা নগরীর ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী সড়ক থেকেও সরে গেছে। শত শত মানুষ শহরের কেন্দ্রে ফেরার আশায় সেখানে জমায়েত হয়েছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, কাছাকাছি জায়গায় গুলির শব্দ শোনার কারণে অনেকেই এগোতে সাহস পাননি। শুধু অল্প কয়েকজন হেঁটে জায়গাটি পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

উদ্ধারকর্মীরা আগে গাজা শহরের যেসব এলাকায় যেতে পারেননি, এখন সেখানে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, এর আগে হামলা হয়েছে এমন এলাকা থেকে কমপক্ষে ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

খবর : আল-জাজিরা