ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় একটি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।এতে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। হামলার শিকার ফাহমী-আল-জারজাভী স্কুলটি একটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল এবং সেখানে বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
স্কুলে ইসরাইলি হামলায় নিহতদের মধ্যে দুজন রেড ক্রস কর্মী এবং এক সাংবাদিকও রয়েছেন। সোমবার (২৬ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরাইলি বাহিনী আবারও ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। উপত্যকাটির একটি স্কুলে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। স্কুলটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুজন রেড ক্রস কর্মী, এক সাংবাদিক এবং একাধিক শিশু।
নিহতদের মধ্যে মাত্র ১১ বছর বয়সি গাজার কনিষ্ঠতম সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ইয়াকিন হাম্মাদও রয়েছে।
পৃথক প্রতিবেদনে আলজাজিরা বলছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় গাজায় ইসরাইলি হামলায় ১২ জনের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর পাশাপাশি হাজার হাজার শিশু চরম অপুষ্টির শিকার হয়ে মৃত্যু ঝুঁকিতে আছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, বর্তমানে গাজায় ৭০ হাজারেরও বেশি শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।
এর আগে রোববার গাজায় মোহাম্মদ ইয়াসিন নামে চার বছর বয়সি এক শিশু না খেতে পেয়ে মারা যায়। গা
এদিকে বোমাবর্ষণ ও স্থল অভিযান আরও বাড়িয়েছে ইসরাইল। এতে মাত্র এক সপ্তাহেই প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৬০০ জন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে একটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত তাবুতে হামলায় এক মা ও তার সন্তানরা নিহত হয়েছেন।
এছাড়া খান ইউনিসের পূর্বে বানি সুহেইলায় আরেক শিশুর মৃত্যুর খবর জানিয়েছে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা; ওই শিশুর পরিবারকে লক্ষ্য করে চালানো হয় ড্রোন হামলা। উত্তর গাজার জাবালিয়ায় আরেকটি হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন দুই নারী ও এক শিশু। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এছাড়া আলাদা হামলায় নিহত হয়েছে ইয়াকিন হাম্মাদ। তিনি ১১ বছর বয়সেই গাজার জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তারকা ছিল। একইসঙ্গে নিহত হয়েছেন ডাক্তার আলা আমির আল-নাজ্জারের ১০ সন্তানের মধ্যে ৯ জনই। একমাত্র জীবিত সন্তান ১১ বছর বয়সি আদম এখনও আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলের ১৯ মাসের হামলায় এখন পর্যন্ত যত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৩১ শতাংশই শিশু। উল্লেখ্য, এ হিসাব শুধু শনাক্তকৃত মৃতদের নিয়ে; বহু মৃত্যুর তথ্য এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। ফলে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

Discussion about this post