Print Date & Time : 20 April 2025 Sunday 10:26 pm

গাজায় কন্টেইনারভর্তি মরদেহ পাঠাল ইসরায়েল

ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় কন্টেইনারভর্তি মরদেহ পাঠিয়েছে ইসরায়েল। তবে এসব মরদেহের নাম পরিচয় জানায়নি তারা। ফলে বেনামী এসব মরদেহ গ্রহণণে অস্বীকৃতি জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভিকটিমদের নাম, মৃত্যুর সময় এবং কোথা থেকে তাদের তুলে নেওয়া হয়েছিল সেসব তথ্য না দেওয়া পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। কন্টেইনারে ৮৮টি মরদেহ পাঠিয়েছে ইসরায়েল।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব তথ্য জানা বিষয় নিহতদের এবং তাদের পরিবারের অধিকার। অপর এক বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া অফিস অজ্ঞাত লাশের চালানটিকে ইসরায়েলের ‘অমানবিক ও অপরাধমূলক পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে।

ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, হাসপাতালে ইসরায়েল মরদেহগুলো ফেরত দিতে চেয়েছিল সেই হাসপাতাল জানিয়েছে, মানবিক এবং আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেনে ইসরায়েলকে অবশ্যই মরদেহগুলো ফেরত দিতে হবে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল প্রায়ই সাধারণ জনগণকে ধরে নিয়ে যায়। এসব লোকজনের অনেককে নির্মম নির্যাতন করা হয়। এছাড়া অনেকে আবার মারাও যান।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। দেশটির এ হামলার জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে এ যুদ্ধ শুরু হয়। ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর রূপ নেয় যুদ্ধ।এরপর থেকে গাজার ওপর বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এমনকি তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদসহ ধর্মীয় স্থাপনাও।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার ২০ লাখ বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। দেশটির হামলার কারণে ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, ইসরায়েলে হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন গাজার ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি আর ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা। এছাড়া ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক আদালতে গাজায় গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে দেশটি।