ডেস্ক রিপোর্ট: গাজার দক্ষিণে খান ইউনিসের আল নাসের হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন কানাডার অর্থোপেডিক সার্জন ডিরড্রে নুনান। তিনি আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বহু চিকিৎসককে ২৪ ঘণ্টার শিফটে কাজ করতে হচ্ছে—তবে তারা পাচ্ছেন মাত্র একটি অপ্রতুল ও অপরিপূর্ণ খাবার।
ডা. নুনান বলেন, প্রতিদিন দুপুরের পর একটি মাত্র খাবার সরবরাহ করা হয়। সেটাও খুবই সাধারণ। যেমন গতকাল ছিল শুধু সেদ্ধ ডাল, আর কয়েকদিন আগে ছিল ভাতের সঙ্গে কয়েকটি শস্যদানা দানা। এতে পুষ্টি তো পূর্ণ হয় না, বরং একজন পূর্ণদিবস কাজ করা কর্মীর জন্য পর্যাপ্ত ক্যালোরিও নেই।
তিনি আরও জানান, যখন আমি সহকর্মীদের জিজ্ঞেস করি তারা কাজের আগে কী খেয়েছেন, তখন প্রায় সবাই বলেন—কিছু না, শুধু পানি।
গাজার কঠিন মানবিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ডা. নুনান আরও বলেন, আমার এক সহকারী নার্স আমাকে গতকাল বলছিলেন, প্রতিদিন সকালে তিনি একটি রুটি চার টুকরো করে নিজের চার সন্তানের জন্য দেন। কাজ শেষে বাসায় ফিরে আবার সেই একইভাবে ভাগ করেন।
গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ইতোমধ্যে চরম সংকটে রয়েছে। ওষুধ, খাদ্য, জ্বালানি ও নিরাপত্তার অভাবে সেখানে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন চরম চাপের মধ্যে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজায় একটি নিরাপদ ও মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য আহ্বান জানালেও পরিস্থিতির কোনো দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যাচ্ছে না।

Discussion about this post