ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরও ৯৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক হাজারেরও বেশি। এর মধ্য দিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ হাজার ৪৩০ জনে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (২ আগস্ট) ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর সংবাদ সংস্থা আনাদোলু’র।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের যুদ্ধে কমপক্ষে ৬০ হাজার ৪৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় ৯৮টি মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও ১০৭৯ জন। যার ফলে ফলে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭২২ জনে দাঁড়িয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে না পারায় এখনও অনেক ভুক্তভোগী ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়েছেন।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে ৩৯ জন নিহত এবং ৮৪৯ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৪২২ জনে পৌঁছেছে। আর গত ২৭ মে থেকে বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে আরও ১০ হাজার ৬৭ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলি ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের যোদ্ধারা। এদিন ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।
হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ।
এছাড়া গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পাশাপাশি উপত্যকাটিতে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও রয়েছে ইসরাইল।

Discussion about this post