Print Date & Time : 20 April 2025 Sunday 10:32 am

গাজায় আন্তর্জাতিক কর্মী কমাচ্ছে জাতিসংঘ

ডেস্ক রিপোর্ট: গাজায় ইসরাইলের হামলার মুখে আন্তর্জাতিক কর্মীদের সংখ্যা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। ইসরাইলি সেনাদের সাম্প্রতিক হামলায় গাজায় শত শত ফিলিস্তিনির সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন জাতিসংঘের কর্মীরাও।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক সোমবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ১০০ আন্তর্জাতিক কর্মীর মধ্যে প্রায় ৩০ জন এ সপ্তাহে গাজা ছেড়ে যাবে।

তবে দুজারিক স্বীকার করেন যে, এ সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে নেওয়া হয়েছে, যখন গাজায় মানবিক ত্রাণের চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগও বেড়েছে।

দুজারিক বলেন, এই ‘সাময়িক পদক্ষেপ’ জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের নেওয়া ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’, যা নিরাপত্তা ও কার্যক্রমগত কারণে নেওয়া হয়েছে।

মুখপাত্র এও নিশ্চিত করেছেন যে, গাজার কেন্দ্রস্থল দেইর আল-বালাহ এলাকায় গত ১৯ মার্চ জাতিসংঘ কম্পাউন্ডে হামলার জন্য ইসরাইলের ট্যাংক দায়ী। ওই হামলায় একজন বুলগেরীয় জাতিসংঘ কর্মী নিহত এবং ছয়জন বিদেশি কর্মী গুরুতর আহত হন।

জাতিসংঘ এ প্রথম তাদের কম্পাউন্ডে হামলার জন্য ইসরাইলি বাহিনীকে প্রকাশ্যে জন্য দায়ী করল। যদিও ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বরাবরই হামলার ঘটনায় তাদের দায় অস্বীকার করে এসেছে।

ইসরাইল মাত্র দুই মাসের মাথায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেস্তে দেওয়ার পর জাতিসংঘ ওই বিবৃতি দিল।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তর থেকে আল-জাজিরার প্রতিবেদক গ্যাব্রিয়েল এলিজোন্ডো বলেন, কর্মী সংখ্যা হ্রাস করাটা কেবল আন্তর্জাতিক কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। গাজায় এখনও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জাতিসংঘ কর্মী আছেন, যাদের মধ্যে শত শত কর্মী ইসরাইলের হামলায় নিহত হয়েছেন।

গ্যাব্রিয়াল জানান, গাজায় জাতিসংঘের কর্মী সংখ্যা ১৩ হাজারের বেশি, যাদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি। তারা চিকিৎসক, নার্স, ড্রাইভার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মানবিক কাজে জড়িত।

গত ১৫ মাসে জাতিসংঘ কর্মীদের ২৫০-জনের বেশি নিহত হয়েছে। কিন্তু এখন জাতিসংঘ মহাসচিব বলছেন, পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক যে, গাজায় জাতিসংঘ নিযুক্ত ১০০ আন্তর্জাতিক কর্মীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বা প্রায় ৩০ জন আন্তর্জাতিক কর্মী কমাতে হবে। তারা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য গাজা ছেড়ে যাবেন, বলেছেন আল জাজিরা প্রতিবেদক গ্যাব্রিয়েল।

ওদিকে, জাতিসংঘের মুখপাত্র দুজারিক বলেন, গত ১৯ মার্চ জাতিসংঘ কম্পাউন্ডে ইসরাইলি ট্যাংক হামলার পূর্ণ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছেন মহাসচিব গুতেরেস।