ইউএস বেঙ্গল বাংলাদেশ বুরোঃ একের পর এক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে অনেকটা কোণ্ঠাসা হয়ে পড়ছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পলাতক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা।
কিছুদিন আগে বিবিসি বাংলা শেখ হাসিনার একটি কল রেকর্ড ফাঁস করেন, যেখানে ছাত্রদের উপরে মরাণাস্ত্র ব্যবহার করার আদেশ দিয়েছিলেন এই পলাতক স্বৈরাশ শাসক। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য তিনি এই ধরনের নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সম্প্রতি আল-জাজিরার একটি তথ্যচিত্র করে, যেখানে শেখ হাসিনা ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনানের কথোপকথন প্রকাশ করা হয়। এখানেও তিনি ছাত্রলীগকে মাঠে নামিয়েছিলেন ছাত্রদের আন্দোলন প্রতিহত করার জন্য এমন কল রেকর্ড মিলেছে।
এসব ফোনালাপ তথ্যপ্রমাণ আকারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করতে পারেন প্রসিকিউটররা। এই আদালত শেখ হাসিনা, তাঁর মন্ত্রীদের এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠন করেছে। গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা ও অন্য দুজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আগামী আগস্ট মাসে তাঁদের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর কথা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী জানতেন তাঁর ফোনালাপ রেকর্ড করা হচ্ছে। তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হতো, ফোনে এ বিষয়ে আমাদের কথা বলা উচিত হবে না। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জবাব ছিল, হ্যাঁ, আমি জানি, জানি; আমি জানি এটা রেকর্ড করা হচ্ছে; সমস্যা নেই।’
তিনি আরও বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) অন্যের জন্য অনেক গভীর গর্ত খুঁড়েছিলেন। এখন তিনিই এই গর্তে পড়েছেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যদিও এ সকল কিছু এক ধরনের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে তবে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে এই সকল কল রেকর্ডে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। যা শেখ হাসিনাকে এক ধরনের কোণঠাসা করে ফেলছে।

Discussion about this post