ডেস্ক রিপোর্ট: দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের ক্ষমতা পুঁথিগত করে রাখা এশিয়া মহাদেশের দাপুটে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা অবশেষে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন।
কেন ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে হয়েছিল এই স্বৈরশাসককে তাই আজকে জানার চেষ্টা করি।
পৃথিবীর ইতিহাসে কোন শাসকই আজীবন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। বাংলাদেশের কথিত স্বৈরাশাসক শেখ হাসিনাও অবশেষে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন। এখনো তিনি পালিয়ে আছেন পাশের দেশ ভারতে। একসময়ের প্রতাপশালী তার রাজনীতিক দল আওয়ামীলীগও বাংলাদেশে বর্তমানে অচল অবস্থায় আছে।
চরম ক্ষমতার দম্ভ এবং মানুষের উপর অন্যায় ভাবে স্টিমরোলার চালানো বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী শেখ হাসিনা বর্তমানে পালিয়ে থেকে বিভিন্ন রকম স্টেটমেন্ট দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তবে বাংলাদেশের মানুষের তার বক্তব্যে কোন প্রকার আগ্রহ নেই। এমনকি তার দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও তার উপর অনেকটা ক্ষিপ্ত। নিজে পালিয়ে থেকে নেতাকর্মীদের মাঠে নামানোর চেষ্টা তাকে একপ্রকার সুবিধাজনক রাজনীতিক নেতা হিসেবে বিবেচিত করছে।
তবে তার পতনের প্রধান কিছু কারণ আলোচনা করার চেষ্টা করি।
প্রথমত: অতিমাত্রায় পুলিশ বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল এই কথিত স্বৈরাচার শাসক শেখ হাসিনা। যে কারণে তার দলের নেতাকর্মীরা রাজনৈতিকভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল এবং তারা তার দুঃসময়ে কেউই মাঠে নেমে প্রতিরোধ গড়ে তোলেনি।
দ্বিতীয়ত: তার দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সাংঘাতিকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল যার কারণে অর্থ পাচার সহ তারা সেকেন্ড হোম তৈরি করে নিজেদের নিরাপদ রাখার জন্য চেষ্টা করেছে। এখন উচ্চ পর্যায়ের এই সকল নেতারা সবাই নিরাপদে পালিয়ে রয়েছে। আন্দোলনের সময় তারা কেউই আওয়ামী লীগের পক্ষে হয়ে শক্ত অবস্থান নেয়নি।
তৃতীয়ত: দীর্ঘদিনের ক্ষমতার লোভ শেখ হাসিনাকে অহংকারী এক মহিলা তে পরিণত করেছিল যার কারনে চরমভাবে অজনপ্রিয় হয়ে পড়েছিল শেষের দিকে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে একক সিদ্ধান্তও এ পতনের আরো একটি কারণ। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মতামতের প্রাধান্য না দিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া করেছিল এই শেখ হাসিনা। শেষের দিকে এমন এক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেছিল যেখানে পরের প্রজন্মকে কিভাবে মূর্খ জাতিতে পরিণত করা যায় তারই কু- পরিকল্পনা ছিল। এর ফলে অভিভাবকরা এই স্বৈরা শাসক শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দিতে সবাই মাঠে নেমেছিল।
সর্বশেষ আন্দোলনে ঘটেছিল ছাত্রদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো। এই হৃদয় বিদারক এবং মর্মান্তিক দৃশ্য বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ মেনে নিতে পারেনি, যে কারণে পরিবার সহ সকলে শেখ হাসিনাকে হটাতে মাঠে নেমে আসে।
এক বছর পেরিয়ে গেলেও শেখ হাসিনার কালো অধ্যায়ের সাথে যারা জড়িত তাদের বিচারের মুখোমুখি এখন সময়ের দাবি মাত্র।