ডেস্ক রিপোর্ট: মিয়ানমারের কারারুদ্ধ নেত্রী ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির শারীরিক অবস্থা গুরুতর। মায়ের এই অসুস্থতার খবর জানিয়েছে তার ছেলে কিম আরিস। তিনি জানিয়েছেন, ৮০ বছর বয়সি সু চির হৃদরোগের সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এমনকি তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পেলে তার জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। পাশাপাশি দেশটির সামরিক জান্তা সরকার তার মাকে প্রয়োজনীয় সাহায্য দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন কিম।
বৃহস্পতিবার কিম আরিস মিয়ানমারের সামরিক জান্তার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তার মায়ের জন্য জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এর মধ্যে কারাগারের বাইরে একজন বিশেষজ্ঞ হৃদরোগ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানও অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, আমার মায়ের স্বাস্থ্যের অবনতির খবরটি অত্যন্ত কষ্টদায়ক। তার বয়স ৮০ এবং এখন তার যত্নের প্রয়োজন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য দাঁড়ানো একজন রাজনৈতিক বন্দি হিসাবে তাকে মুক্তি দিতে হবে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে অং সান সু চিকে কারাগারে নির্বাসিত রাখা হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একাধিক অভিযোগে তাকে মোট ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে আন্তর্জাতিক মহল এই মামলাগুলোকে ‘অবিচার’ হিসাবে আখ্যা দিয়েছে।
তার ছেলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা সু চির মুক্তির জন্য হস্তক্ষেপ করে। তিনি বলেন, তার মায়ের বর্তমান শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ এবং অব্যাহত কারাবাস কেবল তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এমনকি মানবাধিকার সংস্থাগুলোও বারবার সু চির প্রতি অমানবিক আচরণ এবং তার কারাবাসের কঠোর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, হৃদরোগের পাশাপাশি সু চি দাঁতে তীব্র ব্যথা, খাদ্যাভাসে অরুচি এমনকি নিম্ন রক্তচাপের মতো সমস্যায়ও ভুগছেন। কিন্তু জান্তা সরকার বরাবরই দাবি করে আসছে—সু চি সুস্থ আছেন এবং কারাগারে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আছেন।
খবর : দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট

Discussion about this post