ডেস্ক রিপোর্ট: ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ‘রাশিয়ার হস্তক্ষেপ’ প্রমাণে তথ্য জালিয়াতির অভিযোগে বারাক ওবামার প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগ। তবে এই তদন্তে কার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হতে পারে বা কী ধরনের অভিযোগ আনা হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়েছে, তদন্তের জন্য মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি গ্র্যান্ড জুরিতে প্রসিকিউটর নিয়োগের মাধ্যমে সম্ভাব্য অভিযোগ উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের কাছ থেকে পাওয়া সুপারিশের ভিত্তিতে এই তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন, ‘রাশিয়াগেট’ ছিল এক ধরনের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। ট্রাম্পের ভাষায়, ডেমোক্র্যাট শিবির ইচ্ছাকৃতভাবে এই হস্তক্ষেপের তথ্য তৈরি করেছিল, যাতে ট্রাম্প ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কের প্রমাণ মেলে।
বর্তমানে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকা তুলসি গ্যাবার্ড গত মাসে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি অভিযোগ করেন— ওবামা প্রশাসন ‘বহু বছর ধরে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে’।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে গ্যাবার্ড লেখেন, ‘মার্কিন ইতিহাসে গোয়েন্দা সংস্থার সবচেয়ে ভয়াবহ রাজনৈতিকীকরণের প্রমাণ মিলেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে আমি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছি, যাতে ওবামা প্রশাসনের অপব্যবহার স্পষ্ট।’
এই অভিযোগের পরপরই বিচার বিভাগ একটি স্ট্রাইক ফোর্স গঠন করে তদন্তের ঘোষণা দেয়, যাতে গ্যাবার্ডের দাবিগুলোর সত্যতা যাচাই করা যায়।
তবে ওবামার মুখপাত্র গ্যাবার্ড ও ট্রাম্পের অভিযোগকে ‘অবাস্তব ও বিভ্রান্তিকর’ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘এসব অভিযোগ হাস্যকর এবং জনগণের মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার দুর্বল চেষ্টা মাত্র।’
ডেমোক্র্যাট নেতারা গ্যাবার্ডের রিপোর্টকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের মতে, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো একটি সম্মিলিত মূল্যায়নে জানিয়েছিল, রাশিয়া মূলত হিলারি ক্লিনটনের ক্ষতি এবং ট্রাম্পের পক্ষে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ভোটের ফলাফল পরিবর্তনের কোনো প্রমাণ মেলেনি।
এদিকে রাশিয়া বারবার দাবি করে আসছে, তারা ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি।

Discussion about this post