ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক ইব্রাহিমি মসজিদের পরিচালক শেখ মোয়াতাজ আবু স্নেইনেহর ওপর ১৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করল ইসরাইলি বাহিনী। মসজিদটিতে সোমবার তালা ঝুলানোর পর এবার শেখ মোয়াতাজকে ওই এলাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।
এর আগে সোমবার পশ্চিম তীরের হেবরনে অবস্থিত ঐতিহাসিক ইব্রাহিমি মসজিদের সব দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়েছে দখলদার ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। পরে ফিলিস্তিনের আওকাফ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, দখলদারদের কর্মকাণ্ড একটি বিপজ্জনক পদক্ষেপ। ইব্রাহিমি মসজিদের করিডোর, উঠোন, কক্ষ এবং অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত দরজার ওপর তালা ঝোলানো ফিলিস্তিনের সার্বভৌমত্বকে স্পষ্টভাবে ক্ষুণ্ন করে।
বিশ্বাস করা হয়, এ মসজিদের সঙ্গেই হযরত ইব্রাহিম, হযরত ইসহাক, হযরত ইয়াকুব ও হযরত ইউসুফের (আ.) কবর রয়েছে।
ইব্রাহিমি মসজিদের পরিচালক শেখ মোয়াতাজ বলেছিলেন, মসজিদের অভ্যন্তরের সব কবর এবং সম্পদ ইসলামী ওয়াকফের মালিকানাধীন এবং নিয়ন্ত্রিত, যার সার্বভৌমত্ব এবং আইনি এখতিয়ার ফিলিস্তিনের। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ইসরাইলি কর্মকাণ্ড এই স্থানগুলোর পবিত্রতার ওপর একটি স্পষ্ট এবং গুরুতর আক্রমণ।
মসজিদের পরিচালক হেবরনের জনগণকে মসজিদের ভেতরে নামাজ আদায় এবং বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দৃঢ়তা ও অধ্যবসায়ের সঙ্গে ইসরাইলি আক্রমণ মোকাবিলা করারও আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে এক ইহুদি মসজিদটির ভেতরে ২৯ ফিলিস্তিনি মুসল্লিকে হত্যা করে। ওই ঘটনার পর দুই ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয় মসজিদটি। ৬৩ শতাংশ জায়গা দেওয়া হয় ইহুদিদের এবং ৩৭ শতাংশ জায়গা মুসলিমদের বণ্টন করা হয়।
তবে বছরে মাত্র ১০ দিন পুরো মসজিদের সব জায়গায় ইবাদত বন্দেগি ও বিচরণের সুযোগ পান মুসলমানরা। দিনগুলো হলো: ইদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, লাইলাতুল কদর, লাইলাতুল ইসরা, শবে মিরাজ, মহানবীর জন্মদিন, পহেলা মহররম এবং রমজান মাসের শুক্রবারগুলো।
হেবরন এলাকায় প্রায় ৪০০ ইহুদির বাস। তাদের নিরাপত্তার জন্য সেখানে প্রায় দেড় হাজার ইসরাইলি সেনা মোতায়েন থাকে।

Discussion about this post