ডেস্ক রিপোর্ট: আবারও গাজার হাসপাতালগুলোকে টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। একইদিনে খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতাল এবং নাসের হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়েছে বর্বর ইসরাইল বাহিনী।
ভয়াবহ সেই আক্রমণে গুঁড়িয়ে গেছে হাসপাতালের ভবন। নষ্ট হয়েছে চিকিৎসা সরঞ্জাম। এছাড়াও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ ঘটেছে প্রাণহানির ঘটনা। মঙ্গলবার এমন হামলার পর শনিবার আবারও উত্তর গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। আল জাজিরা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুসারে, উত্তর গাজার হাসপাতালে ভোর থেকেই তীব্র হামলা চালানো হয়েছে।
তারা আরও জানিয়েছে, ‘রোগী, আহত এবং চিকিৎসা কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ব্যাহত হচ্ছে।’
এতে আরও বলা হয়েছে যে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় দুই রোগী আহত হয়েছেন। এর আগে মঙ্গলবারের হামলায় হাসপাতালে হঠাৎ হামলায় চারদিকে হট্টোগোল শুরু হয়। রোগী ও চিকিৎসকরা যে যার মতো ছোটাছুটি করতে থাকে।
খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট ডা. রেফাত আলাথামনা সেই দিনের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আমাকে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে হয়েছিল। আমি একটি গাছের আড়ালে লুকিয়ে ছিলাম, কারণ আমি লুকানোর জন্য নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের দরজায় পৌঁছাতে পারিনি।’
খান ইউনিসের স্থানীয় সাহায্য সংগঠক মোহাম্মদ আবু রিজেহের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়-প্রাথমিক হামলার পর কালো ধোঁয়া বাতাসে উঠতে দেখা যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে, আরেকটি ধারাবাহিক হামলায় বেসামরিক লোকদের আশ্রয়ের জন্য দৌঁড়াতে দেখা যায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য প্রধান জাহের আল-ওয়াহিদি বলেন, ইউরোপীয় হাসপাতালে হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হন। ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সাল থেকে গাজার চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর ইসরাইলের পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ চলমান।
ডিসেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ বলেছে- গাজার হাসপাতালগুলোতে হামলার ধরন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী হাসপাতালগুলোকে লক্ষ্য করে আন্তর্জাতিক আইনকে স্পষ্টতই উপেক্ষা করেছে।
দেইর আল-বালাহের আল আকসা শহীদ হাসপাতালে কর্মরত রহমান বলেন, ‘নরাময়ের জন্য, বেঁচে থাকার জন্য পুষ্টি একটি মৌলিক প্রয়োজনীয়তা। আপনার পাঁচ, ছয় বছরের ছোট বাচ্চা আছে এখানে। পুষ্টির অভাবে তারা এত দুর্বল হয়ে পড়েছে যে আপনি তাদের পাঁজর গুনতে পারবেন।’

Discussion about this post