ডেস্ক রিপোর্ট: অবরুদ্ধ গাজায় বিমান হামলার পর ইসরাইলি-মার্কিন জিম্মি এডান আলেকজান্ডারকে হেফাজাতে রাখা দলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে হামাস।-খবর এএফপির
এজ্জেদিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ঘোষণা করছি যে মার্কিন সেনা এডান আলেকজান্ডারকে হেফাজাতে রাখা দলের সঙ্গে হামলার পর আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমরা এখনও এই মুহূর্তে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।
এর আগে ব্রিগেড গত শনিবার একটি ভিডিও প্রকাশ করে হামাস। যেখানে আলেকজান্ডারকে জীবিত দেখানো হয়েছে, যেখানে তিনি তার মুক্তি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য ইসরাইলি সরকারের সমালোচনা করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা করে হামাস। ওই হামলায় ইসরাইলের ১১৩৯ জন নিহত হয়। সেইসঙ্গে দুই শতাধিক ইসরাইলিকে বন্দি করে হামাস। সেই সময় ইসরাইলে হামলার সময় আলেকজান্ডার গাজা সীমান্তে একটি অভিজাত পদাতিক ইউনিটে এক সৈনিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সম্প্রতি যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে বেশ কয়েকজন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের ফেরত নেয় তারা। তবে গত ১৮ মার্চ হঠাৎ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরাইল। ফের হামলার শুরু করে গাজায়। নিহত হন অনেক মানুষ।
এই পরিস্থিতিতে হামাস জানিয়েছে, যদি গাজায় একটি ‘গুরুতর ও স্থায়ী’ যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা দেওয়া হয়, তবে তারা ইসরাইলের বন্দিদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত। হামাসের সিনিয়র নেতা তাহের আল-নুনু বলেন, তারা যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা প্রবেশের নিশ্চয়তার বিনিময়ে সমস্ত বন্দি ইসরাইলিকে মুক্তি দিতে রাজি।
এদিকে, হামাসকে যুদ্ধবিরতির একটি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে ইসরাইল। প্রস্তাব অনুযায়ী, হামাস ১০ জন জীবিত বন্দিকে মুক্তি দেবে আর যুক্তরাষ্ট্র এ প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনায় প্রবেশের জন্য ইসরাইলের পক্ষ থেকে গ্যারান্টি দেবে।
এ আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে মিসর ও কাতার, যারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে গাজায় একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Discussion about this post