ডেস্ক রিপোর্ট: ইসরাইলে ‘থাড’ নামের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী ব্যবস্থা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে ইসরাইল এই ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে। থাড পরিচালনার জন্য দক্ষ ১০০ মার্কিন সেনাও পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ।
বুধবার তেহরানে মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক অধিবেশনের ফাঁকে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন। খবর তাসনিম নিউজের।
ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, থাড একটি অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটি নতুন কিছু নয়। আগে থেকেই এই অস্ত্রের ব্যবহার ছিল।
তিনি বলেন, ইহুদিবাদী শাসকদের জারি করা হুমকিও নতুন নয়।
এর আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলকে এ অস্ত্র পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, তার নির্দেশেই আইডিএফকে অস্ত্র ও সেনা সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া, ১ অক্টোবর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুখতে পেন্টাগন ও আইডিএফের যৌথ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন তিনি। তার দাবি, মার্কিন নাগরিকদের জীবনরক্ষায় ইসরাইলের অস্ত্রভাণ্ডারকে তিনি শক্তিশালী করছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একদিকে ইসরাইলকে আল্টিমেটাম, অন্যদিকে সামরিক সহায়তার পদক্ষেপ হোয়াইট হাউজের চরম দ্বিমুখীতার পরিচয় দিচ্ছে। তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র মুখে যুদ্ধ বন্ধের কথা বললেও বাস্তবে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধাবস্থা আরও দীর্ঘায়িত করতে চায়।
নির্বাচনি প্রচারণার শেষ মুহূর্তে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ভোটারদের আস্থা অর্জনে বাইডেন প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ বলেও মনে করেন তারা। বাইডেনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আইন অমান্যেরও অভিযোগ আনেন তারা। যদিও কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া যুদ্ধে জর্জরিত আরেক অঞ্চলে এমন অস্ত্র ও সেনা সহায়তাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছেন জো বাইডেন।

Discussion about this post