ডেস্ক রিপোর্ট: গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলায় ইরানের ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুনরায় চালুর চেষ্টা করা হলে মার্কিন সৈন্যদের নতুন করে হামলার নির্দেশ দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার (২৮ জুলাই) স্কটল্যান্ডের পশ্চিম উপকূলে টার্নবেরি গলফ রিসোর্টে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব। তবে তেহরান বরাবরের মতো পশ্চিমাদের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে গত মাসে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের সময় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলায় যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলার পরও অভ্যন্তরীণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেছেন, ইরান ‘অত্যন্ত বাজে ইঙ্গিত’ দিচ্ছে এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি আবার চালু করার যেকোনও প্রচেষ্টা সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের পারমাণবিক সম্ভাবনা একেবারে মুছে দিয়েছি। তারা আবার শুরু করতে পারে। কিন্তু এর পরিণতি আগের চেয়েও দ্রুত হবে; আঙুল নাড়ানোর আগেই আমরা তা ধ্বংস করে দেব।’
গত ১৩ জুন বিনা উসকানিতে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ১২ দিন ধরে চলা এই যুদ্ধে দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাসহ অন্যান্য অনেক সামরিক ও বেসামরিক অবকাঠামো নিশানা করে ইসরায়েল।
সামরিক ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে ইসরায়েলকে সহায়তা করে আসা যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের শেষের দিকে ইরানের মধ্য ও উত্তর-মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বি-২ বোমারু বিমান ব্যবহার হামলা চালায়।
সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মার্কিন বিমান হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ‘পুরোপুরি এবং চূড়ান্তভাবে’ ধ্বংস করে দিয়েছে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানি পারমাণবিক স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন করতে আরও সময় লাগবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁস হওয়া এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ফোরদো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহানে মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণকি কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস নয়, কেবল নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য পিছিয়ে গেছে বলে জানানো হয়।
খবর : রয়টার্স, এএফপি।