ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন সামরিক বাহিনী বি-২ বোমারু বিমান ব্যবহার করে ইয়েমেনে হুথি গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ইরান সমর্থিত হুতি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো অত্যাধুনিক বি-টু স্টিলথ বম্বার বিমান ব্যবহার করে মাটির অনেক গভীরে থাকা হুতিদের অন্তত ৫টি অস্ত্রাগারে হামলা করা হয়েছে। লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগর দিয়ে চলাচল করা বাণিজ্যিক এবং সামরিক জাহাজগুলোকে হুমকি দেওয়ার জন্য উন্নতমানের অস্ত্র ওই অস্ত্রাগারগুলোতেই লুকিয়ে রাখত হুতিরা। ইউএস এয়ার ফোর্সের বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান অস্ত্রগারের ওপর ‘নির্ভুল স্ট্রাইক’ পরিচালনা করেছে।
অস্টিন আরও করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতার একটি অনন্য প্রদর্শন। আমাদের প্রতিপক্ষরা তাদের অস্ত্র নাগালের বাইরে রাখতে চায়। তারা যতই মাটির গভীরের অস্ত্র রাখুক না কেন, আমরা তা ধ্বংস করব।
তিনি আরও বলেন, ইউএস এয়ার ফোর্সের বি-২ স্পিরিট দূরপাল্লার স্টিলথ বোমারু বিমান প্রয়োজনে যেকোনো স্থানে স্ট্রাইক করতে পারে।
হুথিদের আল মাসিরাহ টিভি স্যাটেলাইট নিউজ চ্যানেল জানিয়েছে, ইয়েমেনের রাজধানী সানায় হুতিদের শক্ত ঘাটি চারপাশে বিমান হামলার চালানো হয়েছে। এই হামলায় ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো তাৎক্ষণিক তথ্য দেয়নি সংবাদ মাধ্যমটি।
গত বছরের নভেম্বর থেকে ইরান সমর্থিত হুথি গোষ্ঠি লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগর এবং বাব আল-মান্দেব প্রণালীতে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলিতে অসংখ্য হামলা চালিয়েছে। এই হামলাকে হুতিরার ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রচার হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
এদিকে অস্টিন জানিয়েছেন, হুথি হামলাগুলি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে ব্যাহত করে চলেছে। হুতিরা অস্থিতিশীল আচরণে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথে মার্কিন বাহিনী এবং কর্মীদের ক্ষতি হচ্ছে। তাই হুতিদের সক্ষমতা হ্রাস করার জন্য তাদের উপর হামলার নির্দেশ দেওয়া হযেছে।
১৯৯৯ সালে পরমাণু ক্ষমতা সম্পন্ন বি-টু প্রথম কসোভো যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল। তারপর আফগানিস্তান, ইরাক এবং লিবিয়াতে মোতায়েন করা হয়েছিল এই বিমানটি। যুদ্ধে এই বিমান মার্কিন সেনাবাহিনী খুব কমই ব্যবহার করে। কারণ প্রতিটি বিমানের মূল্য প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

Discussion about this post