ডেস্ক রিপোর্ট: ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে লড়াইরত দুই চীনা নাগরিককে আটকের দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে চীনা নাগরিকদের আটকের প্রথম প্রকাশ্য ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এক্স-পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, কিয়েভের কাছে তথ্য রয়েছে, আরও অনেক চীনা নাগরিক ইউক্রেন যুদ্ধে লড়াই করছে। তবে তারা বেইজিংয়ের নির্দেশে কাজ করছে কি না, তা নিশ্চিত করেননি তিনি।
তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধে চীনের সঙ্গে রাশিয়ার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, পুতিন যুদ্ধ শেষ না করে অন্য কিছু চান।
এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জেলেনস্কির মন্তব্যের বিরোধিতা করেছে এবং এটিকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, ইউক্রেনের উচিত ইউক্রেনীয় সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের জন্য চীনের প্রচেষ্টা এবং গঠনমূলক ভূমিকা সঠিকভাবে দেখা।
তিনি আরও বলেন, চীন সরকার সর্বদা নাগরিকদের সশস্ত্র সংঘাতের এলাকা এড়িয়ে চলার এবং বিশেষ করে যে কোনো পক্ষের সামরিক অভিযানে অংশগ্রহণ এড়াতে নির্দেশ দিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস ইউক্রেনে চীনা নাগরিক আটকের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে কিয়েভ আরও বলেছে, রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলের কিছু অংশে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পিয়ংইয়ংয়ের সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে রাশিয়া এখনো জেলেনস্কির চীনা যোদ্ধাদের দাবির বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি। এমনকি তাদের কুরস্ক অঞ্চলে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের ব্যবহারের বিষয়টিও স্পষ্টভাবে নিশ্চিত করেনি।

Discussion about this post